Post Office: ঝেড়ে ফেলুন ব্যাঙ্কে টাকা রাখার অভ্যেস, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা রাখলেই বাম্পার রিটার্ন
কর্মকালের রোজগার থেকে কিছুটা সরিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে কমবেশি সকলেই উদ্যোগী হন। তবে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ এলেই অধিকাংশ মানুষের মনে দানা বাঁধে ভয়। কারণ দেশজুড়ে ‘চিট ফান্ড কাণ্ডের’ রমরমা ছিল কয়েকবছর আগে অবধি। এমন অবস্থায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারের দিকে পা বাড়ালেও বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভরসা করেন নির্ভরযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থাগুলির উপর। আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা।
পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ অনেকেই পছন্দ করেন। কারণ পোস্ট অফিস যেমন নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে, তেমনই সেখানে নিশ্চিত ভালো রিটার্নের সুবিধাও রয়েছে বেশ কিছু স্কিমে। আর এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো ‘পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্প’ বা MIS সম্বন্ধে। এই প্রকল্পে সমস্ত বয়সের নাগরিকদের জন্যই বিনিয়োগ করার রাস্তা খোলা আছে। শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীকে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হলেই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্ভব।
উল্লেখ্য, পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি আকর্ষণীয় হওয়ার কারণ হল এই স্কিমের সুদ এবং রিটার্নের হিসেব। এই প্রকল্পের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে সেটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুবিধা প্রদান করবে, সঙ্গে এর সুদের হার অনেকটাই বেশি। পোস্ট অফিসের এই মাসিক আয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৭.৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হয় ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে। অর্থাৎ এক বছরে আপনার টাকার উপর চারবার সুদ বসবে। তাই অনেকের মতে এই অ্যাকাউন্টে সেভিংস অ্যাকাউন্টের থেকে দ্বিগুন রিটার্ন পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে সুদের হার বেড়েছে গত জুলাই থেকেই।
উদাহরণস্বরূপ আপনাকে যদি দেখানো হয়, তাহলে যদি কোনো ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে সেখওন থেকে রিটার্নের হিসাবটি দেখে নিন। এই পরিমাণ টাকা আপনি যদি পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার পুনরাবৃত্ত টাকার উপর ৭.৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট সুদ বাবদ আপনি পেয়ে যাবেন ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। আর পাঁচ বছর পর আপনার হাতে আসবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। অর্থাৎ আপনি মোট রিটার্ন পাবেন সাড়ে সাত লাখ টাকার কাছাকাছি। এই স্কিমে প্রথম ৩ বছরে টাকা তুললে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়।