Post Office Schemes: পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলিতে সর্বোচ্চ হারে মিলবে সুদ, এক্ষুনি করুন আবেদন
সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ এলেই অধিকাংশ মানুষের মনে দানা বাঁধে ভয়। কারণ দেশজুড়ে ‘চিট ফান্ড কাণ্ডের’ রমরমা ছিল কয়েকবছর আগে অবধি। এমন অবস্থায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারের দিকে পা বাড়ালেও বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভরসা করেন নির্ভরযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থাগুলির উপর। আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা। পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ অনেকেই পছন্দ করেন। কারণ পোস্ট অফিস যেমন নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে, তেমনই সেখানে নিশ্চিত ভালো রিটার্নের সুবিধাও রয়েছে বেশ কিছু স্কিমে। আর এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো পোস্ট অফিসের কিছু সেভিংস স্কিম সম্পর্কে।
■ পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট: এটি সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতোই একটি স্কিম, যেখানে সুদ দেওয়া হয় ৪ শতাংশ হারে। তবে বয়স্করা এই স্কিমে টাকা জমালে আরো বেশি সুদ দেওয়া হয়।
■ পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট: এই স্কিমটিও অনেকটা ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই। এই স্কিমে ১ বছরের টাইম ডিপোজিটে ৬.৯ শতাংশ, ২ থেকে ৩ বছর মেয়াদের টাইম ডিপোজিটে ৭ শতাংশ এবং ৫ বছর মেয়াদের টাইম ডিপোজিটে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।
■ Kisan Vikash Patra: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে প্রথমেই ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর ১০০ টাকার গুনিতকে যেকোনো মূল্যের টাকা জমা দেওয়া যায়। ১১৫ মাস অবধি এই স্কিমে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ। তবে এই স্কিমে ১২৩ মাসেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
■ PPF: এটি হল পোস্ট অফিসের একটি পাবলিক ফান্ড স্কিম। এই স্কিমে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হলেও সুদের হিসেব হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। ট্যাক্স ছাড়ে ১৫ বছরের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করা গেলেও সেটিকে আরো ১০ বছর অবধি বাড়ানো যায়। এই স্কিমে প্রতিদিন ৪১৭ টাকা বা মাসে ১২,৫০০ টাকা করে জমালেই ২৫ বছর পর আপনি হতে পারেন কোটিপতি।
■ রেকারিং ডিপোজিট: ফিক্সড ডিপোজিট করার ইচ্ছে থাকলেও মোটা অঙ্কের মূলধনের অভাব হয় অনেকে। তাদের জন্য রেকারিং ডিপোজিট একটি ভালো বিকল্প। ন্যূনতম মাত্র ১০০ টাকা করে মাসে মাসে জমানো যায় এই স্কিমে। এখানে ৫ বছরের ডিপোজিটে ৬.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।