অবসর জীবন যাতে চিন্তামুক্ত ভাবে তার জন্য কমবেশি সকলেই অর্থ সঞ্চয় করে থাকেন। সময় থাকতে বিভিন্ন স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন অনেকেই। এক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় অনেকের মধ্যেই। পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি (Post Office Scheme) অর্থ বিনিয়োগের জন্য একেবারেই সুরক্ষিত। উপরন্তু পাওয়া যায় নিশ্চিত রিটার্ন। তাই ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের জন্য অনেকেই পোস্ট অফিসের স্কিমে বিনিয়োগ করেন।
৩৩৩ টাকা জমিয়ে মোটা রিটার্ন
পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমগুলির মধ্যে অন্যতম হল রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের জনপ্রিয়তার কারণ হল, এখানে একসঙ্গে একগুচ্ছ সুবিধা পেয়ে থাকেন গ্রাহক। প্রতি মাসে কম অঙ্কের টাকা জমিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব এই প্রকল্পে। পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে দৈনিক ৩৩৩ টাকা করে সঞ্চয় করে ১৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। কীভাবে তা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হল এই প্রতিবেদনে।
রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের সুবিধা
- পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে প্রতি মাসে নূন্যতম ১০০ টাকাও বিনিয়োগ করা যায়।
- সিঙ্গেল এবং জয়েন্ট দু ধরণেরই অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে।
- আপাতত ৬.৭ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে।
- এই স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। তবে চাইলে আরো ৫ বছর বাড়ানো যায় মেয়াদ।
৩৩৩ টাকা সঞ্চয়ে কীভাবে হবে ১৭ লক্ষ?
পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে যদি প্রতি দিন ৩৩৩ টাকা করে সঞ্চয় করা যায় তাহলে এক মাসে মাসে তা হয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে বিনিয়োগ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এই হিসেবে ৫ বছরে সঞ্চয় করা হবে ৬ লক্ষ টাকা। আর এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৭০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৫ বছর পর সুদ বাবদ পাওয়া যাবে প্রায় ১,১৩,৬৫৯ টাকা। আর ৫ বছর পর সুদে আসলে মিলিয়ে মোট রিটার্ন পাওয়া যাবে ৭,১৩,৬৫৯ টাকা।
এই স্কিমে ম্যাচুরিটি সময় ৫ বছর হলেও আরো ৫ বছর যোগ করে এটি ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে ১০ বছরে ১২ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করা হবে। এর উপরে পর ৫,০৮,৫৪৬ টাকা সুদ পেলে ১০ বছর পর মোট রিটার্ন পাওয়া যাবে ১৭,০৮,৫৪৬ টাকা।