Potato Price: আজ থেকে আলুর দাম কমবে? কিন্তু কত? কি পদক্ষেপ নিল প্রশাসন!
মধ্যবিত্তের জন্য এবার স্বস্তির খবর, আলোচনার মাধ্যমে এবার সমাধান উঠে এলো, উঠল আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার থেকেই ফের শুরু হয়ে যাবে আলুর সরবরাহ। যার ফলে আলুর দাম কমবে বলেই জানা যাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে কৃষি বিপনন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আলোচনা করেছেন। আর তারপরেই সেই আলোচনার মাধ্যম থেকেই বেরিয়ে আসে সমাধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই আলু সরবরাহের এই জটিলতা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন।
আর তারপর থেকেই দেখা যায়, হুগলির হরিপাল বিডিও অফিসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীরা এবং হিমঘর মালিক সংগঠন একটি আলোচনা করতে বসেন। দেড় ঘন্টা ধরে তাদের মধ্যে বৈঠক হয় এবং বৈঠকের পরে জানা যায়, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যার ফলে তারা জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই হিমঘর থেকে আলু বেরোবে আর বৃহস্পতিবার থেকে এই আলুর জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে, যার ফলে আলুর দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, যতক্ষণ না আলুর দাম কমছে, ততক্ষণ ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো যাবে না।
এই বৈঠকের পর কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেছিলেন, রাজ্য সরকার সুফল বাংলা থেকে আলু বিক্রি করবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, হিমঘর থেকে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু তারা দিতে পারবেন, আর সেই আলু ৩০ টাকার নিচে সুফল বাংলা থেকে সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে। আলু ব্যবসায়ী তরফ থেকে লালু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, যে আলু ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা আশাবাদী যে সরকার তাদের সমস্ত দাবি দেওয়ার কথা ভাববেন।
কোথাও কোথাও ৫০ টাকা দাম নেওয়া হয়েছে। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে, পঞ্চাশ টাকা দাম নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি কখনোই তৈরি হয়নি। যাইহোক সবমিলিয়ে ভালো পরিস্থিতি হয়েছে, যা মধ্যবিত্তদের জন্য দারুন সুখবর। আলু প্রত্যেকটা রান্নাঘরের প্রত্যেক দিনের একটা প্রয়োজনীয় উপাদান আলু প্রত্যেকটা রান্নাতেই ব্যবহার করতে লাগে সেক্ষেত্রে এইরকম একটা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যদি এইভাবে বাড়ে, তাহলে তো মধ্যবিত্তর, নিম্ন মধ্যবিত্তদের সমস্যা হবে। এটাই স্বাভাবিক বাজারে গিয়ে ভাবছে কি খাবে? যাই হোক, অবশেষে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা মিটে যাওয়ার পরেও শেওড়াফুলি কৃষক বাজারে হিমঘর থেকে কোন আলু এখনো পর্যন্ত পৌঁছয়নি। যে কজন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে আলু ছিল সেখানেও চড়া দামে আলু বিক্রি হয়েছে, চন্দ্রমুখী আলুর বস্তা পিছু দাম হয়েছে প্রায় ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা এবং জ্যোতি আলুর দাম বস্তা পিছু হয়েছে প্রায় ১৫৫০ থেকে ১৬০০ টাকার মত। একই রকম পরিস্থিতি হয়েছে আরামবাগের বাজারে যেখানে খুচরো বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকা, জ্যোতি আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
শেওড়াফুলির বাজারের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দাম কমতে এবং জোগান ঠিক হতে আরও দু’তিন দিন সময় লেগে যাবে। প্রসঙ্গত, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারি স্তরে বাজারে পরিদর্শন হচ্ছে। কোথাও চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে। তবে, জেলা কৃষি বিপণন দফতরের তত্ত্বাবধানে সরকারি মূল্যে আলু বিক্রির ভ্রাম্যমান কেন্দ্র চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম, এমন অভিযোগ আসছে।
বৃহস্পতিবারেও গ্রামীণ হাওড়ায় আলুর দাম অনেক টাই বেশি ছিল। চন্দ্রমুখীর দেখা কার্যত মেলেনি। তবে আজ শুক্রবার থেকে দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।