Titli: আচমকাই বন্ধ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তিতলি’-র শুট!
চলতি বছর লকডাউনের সময় থেকেই বারবার সামনে আসছে প্রযোজকদের সঙ্গে ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব। বিনোদন জগতের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। করোনা অতিমারীর ফলে বিনোদন জগতের যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তার পাশাপাশি শুরু হয়েছে পারিশ্রমিক নিয়ে বিরোধ।
গত সপ্তাহে মতপার্থক্য মেটাতে ফেডারেশনের সঙ্গে প্রযোজকদের বৈঠক হলেও মাঝপথে আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর 13 ই সেপ্টেম্বর আবারও পারিশ্রমিক নিয়ে অশান্তি শুরু হতেই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় সুশান্ত দাস (Sushanta Das)-এর ধারাবাহিক ‘তিতলি’-র শুটিং। কিন্তু পরে সুশান্ত জানিয়েছেন, সাময়িক ভাবে মতবিরোধ হলেও আপাতত সব মিটে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে।
কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক দাবি করেছেন, ফেডারেশনের সঙ্গে প্রযোজকদের নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েই চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল লকডাউনে পারিশ্রমিক দেওয়া নিয়ে বিরোধ। করোনা অতিমারীর কারণে টলিউড সহ সমস্ত রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছিল। কিন্তু শিল্পীদের মতো কলাকূশলীদের পারিশ্রমিক দেওয়া বন্ধ করেননি প্রযোজকরা। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশন ও গীল্ডের যথেষ্ট আপত্তি ছিল। তাঁরা দাবি করেছিলেন, কাজ না করে সংগঠনের সদস্যরা পারিশ্রমিক নেবেন না। কিন্তু তারপরেও কলাকূশলীদের অ্যাকাউন্টে পারিশ্রমিক ঢুকলে তা ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় দুই সংগঠন।
সেই সময় প্রযোজকরা বলেছিলেন, পরে পারিশ্রমিক থেকে এই অর্থ কেটে নেওয়া হবে। তাতে ফেডারেশনের সায় থাকলেও বাস্তবে ঘটে অন্য ঘটনা। পরিচালক জানিয়েছেন, সম্প্রতি ‘তিতলি’ ধারাবাহিকের প্রযোজক ও পরিচালক সুশান্ত দাস কলাকূশলীদের পারিশ্রমিক থেকে নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নিতেই তাঁরা বিরোধিতা করেন। ফলে , সোমবার আচমকাই কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশনের সম্পাদক অপর্ণা ঘটক (Aparna Ghatak) জানিয়েছেন, প্রযোজকদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করা হবে। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে। তবে অপর্ণা বলেছেন, ‘তিতলি’-র শুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো খবর তিনি পাননি। এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে আলোচনার পথে যাবে সংগঠন বলে জানিয়েছেন তিনি।
View this post on Instagram