“আরে ইয়ার তুমি বাঙালি মেয়ে, আমি তোমাকে হিন্দি সিনেমায় সুযোগ করে দেব। বড় বড় অভিনেত্রীরা আমার পায়ের তলায় থাকে। আমি বলতে লাগলাম, দেখুন আমার প্রতিভা দেখে আমাকে বাছা হয়েছে। আমি এরকম আপোস করব না। তাও সে আমায় জোর করতে থাকে। আমি বুঝতে পারছি না কী করা উচিত আমার, চিৎকার করব কি করব না! আমার হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। এই আপনাদের যখন বলছি এখনও আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি শুধু ঠাকুরকে ডাকছি আমাকে বাঁচাও। আমি কি আজকে রেপড (ধর্ষিতা) হব তাহলে!” কথাগুলো কোনো ধারাবাহিক বা সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয়। একেবারে সত্য ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে ২০ বছর বয়সে। সেও তখন সাধারণ মেয়েই ছিল। বর্তমানে তিনি অবশ্য জনপ্রিয় মুখ তথা অভিনেত্রী। ধারাবাহিক থেকে সিনেমা, সব জায়গায় তার একটা শক্ত পোক্ত জায়গা হয়ে রয়েছে।
যেই প্রযোজক তার সঙ্গে এমন ঘৃণ্য আচরণ করেছিলেন সেই প্রযোজকের নাম নেননি তিনি। শুধু এটুকুই বলেছেন তিনি মৃত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে একটি কনফারেন্সে আসেন ইন্দ্রানী হালদার। নিজের স্টুডেন্টদের সামনে ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু অধ্যায় তুলে ধরেন যাতে তার স্টুডেন্ট সহ বাকি প্রত্যেকে একটা শিক্ষা নেয়।
১৯৮৬ সালে, টিভিতে ‘তেরো পার্বন’ দিয়ে হাতেখড়ি হয় ইন্দ্রানী হালদারের। বাংলা সিনেমা জগতে ইন্দ্রানীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি দিয়েছেন ‘পারমিতার একদিন’,’শ্বেত পাথরের থালা’, ‘দান প্রতিদান’, ‘দেখা’, ‘অনু’, ‘দহন’ এর মতন দুর্দান্ত কিছু ছবি। সম্প্রতি তাকে পাওয়া গিয়েছে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে এবং ‘কুলের আচার’ সিনেমায় । অবশ্য এখনও তিনি ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ হিসেবে বেশি পরিচিত।