শিলাজিৎ (Silajit Majumder) তুলে ধরেছিলেন সোনামণি (Sonamoni)-র কথা। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee)-র বড় ফ্যান সোনামণি। প্রসেনজিৎ কথা দিয়েছিলেন, সোনামণির সাথে দেখা করবেন তিনি। এইরকম কথা তো কত সুপারস্টার দেন। কিন্তু তিনি তো ইন্ডাস্ট্রি। তাই ভিডিও কলের মাধ্যমে ‘বড়দা’ প্রসেনজিৎ এবার পৌঁছে গেলেন শিলাজিৎ-এর দত্তক গ্রাম গড়গড়িতে তাঁর বোন সোনামণির কাছে। প্রথমটা বুঝতে পারেননি সোনামণি।
পরে একটু ধাতস্থ হয়ে হাতজোড় করে নিজের পরিচয় দিয়ে সোনামণি প্রসেনজিৎ -কে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর পরিবারের সকলে ভালো আছেন কিনা! অপরদিকে শিলাজিৎ-এর মুখে তখন গর্বের হাসি। অবশেষে তিনি পেরেছেন দাদা ও বোনের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে। টাওয়ারের কারণে ভিডিও কলে একটু অসুবিধা হলেও সোনামণি খুব খুশি মোবাইলে নীল সোয়েটশার্ট পরা ‘বুম্বাদা’-কে দেখে। প্রসেনজিৎ সোনামণির সুখ-দুঃখের খবর নিয়েছেন। তাঁকে ভালো থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সোনামণির একটাই আবদার,তাঁর বড়দা প্রসেনজিৎ যেন তাঁর গ্রাম গড়গড়িতে অন্তত একবারের জন্য আসেন। সপরিবারে এসে তাঁকে যেন প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন। কথা দিয়েছেন প্রসেনজিৎ, আসবেন তাঁর বোনের কাছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই আসবেন তিনি।
শিলাজিৎ ফোনেই তাঁর দত্তক গ্রাম গড়গড়ির কিছু অংশ প্রসেনজিৎকে দেখান। অপরদিকে তখন সোনামণির সাথে প্রসেনজিৎ-এর আলাপচারিতা দেখতে কয়েক জন গ্রামবাসী হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ফোনের উপর। বিদায় পর্বের সময় মজা করে শিলাজিৎ মজা করে বলেছেন, খবর পেলে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ত প্রসেনজিৎকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতে।
বীরভূমের গড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সোনামণি রুজ জন্মগত ভাবে স্পেশ্যাল চাইল্ড। শিলাজিৎকেও তিনি দাদা বলেই মানেন। এর আগেও শিলাজিৎকে তিনি বহুবার অনুরোধ করেছেন, অন্তত একবার প্রসেনজিৎকে তাঁর সামনে এনে দিতে। শিলাজিৎ-এরও মনে হয়েছিল, তাঁর বোনের অন্তত একটা ছোট্ট আবদার যদি মেটাতে পারেন! তাই এবার দাদা নিজের বোনের কাছে এনে দিলেন রূপোলি পর্দার নায়ক সোনামণির ‘বড়দা’-কে। কিছু সম্পর্ক এমনও হয়।