প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) মানেই হয়তো একটি আস্ত ইন্ডাস্ট্রি নয়, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির সিংহভাগ। মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) পরবর্তী সময়ে প্রসেনজিৎ-এর হাত ধরেই মূলতঃ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কাটিয়ে উঠেছিল খরা। কূশীলবদের ঘরে চড়েছিল অন্নের হাঁড়ি। ধীরে ধীরে বাংলার গন্ডি কাটিয়ে প্রসেনজিৎ পাড়ি দিয়েছেন মুম্বই। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর ওয়েব সিরিজ ‘জুবিলি’-তে তাঁর অভিনয় আবারও নজরকাড়া। কিন্তু বাংলার বুকে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রসেনজিৎ-এর মতো অভিনেতার ঝুলিতেও নেই হিট ফিল্ম। ফিল্মের চিত্রনাট্য ভালো হলেও তা বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারছে না। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ।
দীর্ঘ তের বছর পর বলিউডে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পয়লা বৈশাখে মুক্তি পেতে চলেছে প্রসেনজিৎ অভিনীত ফিল্ম ‘শেষ পাতা’। অতনু ঘোষ (Atanu Ghosh)-এর পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘শেষ পাতা’। এই ফিল্মে প্রসেনজিৎ অভিনীত চরিত্রের নাম বাল্মিকী। লেখাই তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু তার মানসিকতা বাঁধা অন্য তারে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে বাল্মিকীর চরিত্রে প্রসেনজিৎ-এর লুক। কাঁচা-পাকা চুলের মধ্য দিয়ে উঁকি মারছে টাক। সাদা দাড়ি গোটা মুখে। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। এতদিন এবং সাম্প্রতিক কালে স্টাইলিশ চরিত্রের অভিনেতা প্রসেনজিৎ মনে করেন, ‘জুবিলি’-র শ্রীকান্ত রায় ও ‘শেষ পাতা’-র বাল্মিকী, দুজনেই শিল্পী। অনেকটা ‘মনের মানুষ’ ও ‘অটোগ্রাফ’-এর মতো। একটি চরিত্র ত্যাগী, অপরটি ভোগী।
তবে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত প্রসেনজিৎ। তাঁর মতে, শ্রীকান্তর মতো বাল্মিকীও পাবেন অনুরাগীদের ভালোবাসা। প্রসেনজিৎ বললেন, অভিনেতা হিসাবে নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করা প্রয়োজন যাতে গ্ল্যামারাস ও ডি গ্ল্যাম, দুই ধরনের লুকেই মানিয়ে নেওয়া যায়। প্রসেনজিৎ জানেন, তিনি জিনগত ভাবেই সুন্দর। সৌন্দর্যের খোলস ছেড়ে অভিনেতা হওয়ার দিকে তাঁর ঝোঁক বেশি। মজা করে প্রসেনজিৎ বললেন, তাঁর সৌন্দর্যের দোষ অবশ্যই তাঁর মা-বাবার। কিন্তু তবু তাঁর মনে হয় ‘আয় খুকু আয়’-এর নির্মল চরিত্রের চেহারার সাথে দর্শক সংযোগ স্থাপন করতে পারেননি। তাঁরা তাঁদের প্রিয় নায়ককে খুঁজেছেন। ফলে টিভি রেটিং-এ ভালো ফল করলেও বক্স অফিসে অসফল ‘আয় খুকু আয়’।
তবে ‘কাছের মানুষ’ পুজোর ফিল্ম নয় তা আগেই দেব (Dev)-কে বলেছিলেন প্রসেনজিৎ। তবে ‘ময়ুরাক্ষী’, ‘শঙ্খ চিল’-এর মতো ফিল্ম বক্স অফিসকে মাথায় রেখে তৈরি হয় না বলে স্বীকার করলেন তিনি। তা শুধুমাত্র অভিনয়ের ক্ষিদে মেটায়। বহু বছর অবধি দর্শকের মনের কোণে জীবিত থাকে চরিত্রগুলি।
View this post on Instagram