একটি ছবির একটি সংলাপ, আর তাতেই বাজিমাত। ‘ইন্ডাস্ট্রি’ নামটাই রয়ে গেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee)। টলিউডের (Tollywood) ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তিনি, অন্যতম শক্ত স্তম্ভ। অভিনেতা অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের অভিভাবক রূপে রয়েছেন প্রসেনজিৎ। বাস্তব জীবনেও দুই ছেলে মেয়ের অভিভাবক তিনি। তৃষাণজিৎ এবং প্রেরণা। যদিও মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই, কিন্তু তাঁকেও মিস করেন অভিনেতা।
প্রসেনজিতের কেরিয়ার যতটাই সাজানো গোছানো, ব্যক্তিগত জীবন ততটাই অগোছালো। তিন তিন বার বিয়ে করেছেন তিনি। প্রথম বিয়ে অনেক কম বয়সে অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের (Debasree Roy) সঙ্গে। প্রসেনজিৎ এবং দেবশ্রী ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। বন্ধুত্ব কখন যে প্রেমে বদলে গিয়েছিল টের পাননি কেউ। তারপর বিয়ে। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে সেই বিয়ে টেকেনি। দেবশ্রী প্রসেনজিতের প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সে সময়ে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছিল টলিপাড়ায়। আজো তাঁদের বিচ্ছেদ চর্চিত।
দীর্ঘদিন নিজের প্রথম বিয়ে নিয়ে কথা না বললেও কয়েক মাস আগে মুখ খোলেন প্রসেনজিৎ। তিনি বলেছিলেন, তাঁর প্রথম বিয়েটা একটা বিরাট গণ্ডগোল। অনেকেই বলেন, খেলনা বাটির মতো তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেন একটা ছেলেখেলা। কোথা থেকে কী হয়ে গিয়েছিল কিছুই বোঝেননি প্রসেনজিৎ। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, অত কম বয়সে বিয়ে করাটা তাঁদের উচিত হয়নি। সে সময়ে দুজনেরই মন ছিল অপরিণত। যদি আরো পরে বিয়ে করতেন তাহলে হয়তো বিষয়টা আজ অন্য রকম হতে পারত।
দীর্ঘদিনের মৌনতা ভেঙে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, প্রথম বিয়ে ভাঙার পর নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছিলেন তিনি। বাইরে বেরোতেন না, কথা বলতেন না। তাঁর মনে হত, লোককে তিনি কী জবাব দেবেন। শেষমেষ সহকর্মীর কথাতেই আবারো কাজে ফেরেন প্রসেনজিৎ। তিনি এমনও মন্তব্য করেছিলেন, এখন বহু বছর কেটে গিয়েছে। ছেলে মেয়েরাও বড় হয়ে গিয়েছে। দেবশ্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বটা আবার তিনি ঝালিয়ে নিতেই পারেন। যাই হয়ে যাক না কেন, তাঁরা তো ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। তবে প্রসেনজিৎ আগ্রহ দেখালেও দেবশ্রীর তরফে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি।