আগেকার দিনে কিছু মানুষের ধারণা ছিল এই যে পড়াশুনায় ভালো না সেই জন্যেই ফিল্মি লাইনে এসেছে। কিন্তু, সময় বদলেছে। মানুষের চিন্তা ভাবনার বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। এখন যারা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন পাকা পোক্ত ভাবে তাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত/ শিক্ষিতা। তাদের ভাষা জ্ঞান প্রচুর, এছাড়া তারা জানেন বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন জায়গার সংস্কৃতি ও শিক্ষা সম্পর্কে। কথা হোক বাংলা সিনেমার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। বহু বছর ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলেছেন তিনি। এখনও সেই বুম্বা দা আগের মতন হ্যান্ডসাম রয়েছেন। চরিত্রের খাতিরে নিজেকে ভেঙেছেন গড়েছেন। সেই আগেকার প্রসেনজিৎ এখনকার প্রসেনজিৎ এর অভিনয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। বিদ্যা বা জ্ঞান না থাকলে নিজেকে পরিবর্তন করা মুখের কথা নয়।
আজকের টপিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) মাধ্যমিকের নম্বর কত? প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ পেয়েছে।এমনকি এই নিয়ে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। কিছু অনুত্তীর্ণ পড়ুয়া Umbrella বানান করতে পারে না অথচ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেটার মার্কস পেয়ে পাশ করেছে।
তাহলে কত নম্বর পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ? এমনও অনেক অভিনেতা আছেন যারা বেশিদূর পর্যন্ত পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারেননি, কেউ মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছে, কেউ আবার কেরিয়ারের পাশাপাশি পড়াশুনো চালিয়ে গিয়েছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু, সেরকম একজন মানুষ যিনি শিশু বয়স থেকে অভিনয় জগতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। এখন তিনিই ইন্ডাস্ট্রি। বাংলা ফিল্মি জগতে প্রসেনজিৎ হলেন এক শক্তপোক্ত কান্ডারী।
তাহলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমিকের নম্বর কত ছিল? পাশ নাকি ফেল? উত্তর অভিনেতা নিজেই দিয়েছেন। বুম্বা দা এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে তার সময় মাধ্যমিকে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। পড়াশুনো ঠিক ভাবে না করলে এবং পরীক্ষা না দিতে পারলে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া সম্ভব নয়। প্রায় বহু ছাত্র ছাত্রী ফেল করতেন। বর্তমানে প্রশ্নের ধরন পাল্টেছে, পড়াশুনোর মান অন্যরকম হয়েছে, তাই পাশের হার তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, টলিউডের হার্টথ্রব বুম্বা দা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ সেই সময় মাধ্যমিকে ৬০% এর বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। ভাবা যায়! প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে তার নতুন বাংলা ছবি ‘আয় খুকু আয়’।