Pumpkin: বিষন্নতা কাটিয়ে ত্বকে ফিরবে উজ্জ্বলতা, যৌবন ধরে রাখতে ম্যাজিকের কাজ করে কুমড়ো
শাক সবজি (Vegetable) খাওয়ার কথা শুনলেই অনেকের মুখ বেজার হয়ে যায়। কিন্তু সবজিতেই থাকে সবথেকে বেশি পুষ্টিগুণ যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি পরিমাণে সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষ করে কুমড়ো (Pumpkin) খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই লাভজনক। কুমড়ো এমন একটি সবজি যা শরীরকে ভেতর থেকে তো ভালো রাখেই, বাহ্যিক ভাবেও উন্নতি সাধন করে।
কুমড়োতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং মিনারেল যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, সালফার, সোডিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি শরীরের বিভিন্ন ভাবে উপকার করে। পাশাপাশি কুমড়োতে ফ্যাট এবং ক্যালোরির মাত্রাও খুব কম। শরীরে ট্রিপটোফ্যানের অভাব ঘটলে বিষন্ন ভাব আসতে পারে। কুমড়োয় রয়েছে এল ট্রিপটোফ্যান যা বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়ো মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি ঘুমেও সহায়তা করে।
কুমড়োয় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কুমড়োয় রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা হৃৎপিন্ড এবং পেশিকে ভালো রাখে। এছাড়াও কুমড়োয় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। কুমড়োয় প্রচুর খনিজ রয়েছে যা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যা কমে নিয়মিত কুমড়ো খেলে। বাতের রোগীদের পক্ষে কুমড়ো খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর। ডায়েটে কুমড়ো রাখলে বার্ধক্যের গতি ধীর হয়, যৌবনের স্থায়িত্ব বাড়ে।
কুমড়ো ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৈলাক্ত ত্বক হলে কুমড়োর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। আর শুষ্ক ত্বক হলে কুমড়োর পিউরি বানিয়ে তার মধ্যে মধু ও দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক লাগালে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে। ব্রণ কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো। চুলের স্বাস্থ্যেও খুব উপকারী এই সবজি। চুলের ঝলমলে ভাব ফেরে নিয়মিত কুমড়ো খেলে। শরীরের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত একাধিক ভাবে উপকার করে কুমড়ো।