whatsapp channel

Rachana Banerjee: টিকিয়ে রাখতে পারেননি বিয়ে, স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ‘শূন্য’ দেবেন রচনা!

তিনি টলিপাড়ার 'দিদি নাম্বার ওয়ান'। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন বহু মহিলারা। বাইরের কাজ সামলে, রোজগার করে যেভাবে ছেলেকে মানুষ করছেন তিনি, তা দেখে কুর্নিশ ঠোকেন সকলেই। কিন্তু রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

তিনি টলিপাড়ার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন বহু মহিলারা। বাইরের কাজ সামলে, রোজগার করে যেভাবে ছেলেকে মানুষ করছেন তিনি, তা দেখে কুর্নিশ ঠোকেন সকলেই। কিন্তু রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) নিজে নিজেকে কত নম্বর দেন? এক শো তে এসে নিজেকে স্ত্রী হিসেবে শূন্য দিয়েছিলেন টলিউডের প্রাক্তন নায়িকা। কিন্তু কেন?

বেশ কয়েক বছর আগে ‘অপুর সংসার’ শো তে এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে রচনা বলেছিলেন, মা হিসেবে নিজেকে ১০ এর মধ্যে ৭ দেবেন। কিন্তু স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য দেবেন তিনি। কারণ হিসেবে রচনা বলেছিলেন, স্ত্রী হিসেবে যে গুণগুলি থাকার দরকার সেগুলি তাঁর মধ্যে নেই। স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে হয়তো তিনি আদর্শ স্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি হয়তো সেটা পারেননি। আসলে সকলেরই নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থাকে। তাঁর কাছে একটা ঠিক। অন্য জনের কাছে হয়তো আরেকটা ঠিক।

Rachana Banerjee: টিকিয়ে রাখতে পারেননি বিয়ে, স্ত্রী হিসেবে নিজেকে 'শূন্য' দেবেন রচনা!

রচনা আরো বলেছিলেন, অভিনয়ের পেশায় যারা রয়েছেন, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের এমন একটি মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত যে তাদের বুঝবে। আসলে এই পেশাটি অন্যগুলি থেকে এতটাই আলাদা যে যতটা বুঝতে হয়, ততটাই মানিয়েও নিতে হয়। সুখী বিবাহিত জীবন হয়তো তাহলেই সম্ভব। তবে তাঁর দাম্পত্য জীবন ব্যর্থ হওয়ার জন্য কখনোই অন্য কাউকে দায়ী করেন না রচনা। এর জন্য নিজেকেই দোষ দেন তিনি।

অপর এক সাক্ষাৎকারেও রচনা বলেছিলেন, তিনি বিবাহিত বটে তবে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ নয়। শুধুমাত্র ছেলে রৌণকের মুখ চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ নেননি স্বামীর কাছ থেকে। স্বামী প্রবাল বসুর থেকে আলাদা থাকেন রচনা। তবে ছেলের জন্য এখনো মাঝে মাঝেই একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। এমনকি রৌণককে পরীক্ষার আগে পড়াও দেখাতে আসেন প্রবাল। একসঙ্গে ঘুরতেও যান তাঁরা। আসলে রৌণক ডিভোর্সি বাবা মায়ের সন্তান, এমনটা ছেলেকে শুনতে হোক তা চাননি রচনা প্রবাল।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই