বিকেল সাড়ে পাঁচটা মানেই প্রতিটা ঘরে ঘরে জি বাংলার পর্দায় ‘দিদি নং ১’ নিয়ে হাজির হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটা মেয়েকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখান তিনি। এতদিন ধরে জি বাংলার পর্দায় একটা রিয়েলিটি শো সঞ্চালনা করা মুখের কথা নয়। তার অসাধারণ সঞ্চালনা করার ক্ষমতা মানুষের মন কেড়ে নেয়। তার মধ্যে রয়েছে আপন করে নেওয়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মানবিকভাবে অসাধারণ তার প্রমাণ আমরা বারবারই পেয়েছি। কখনো কোন মানুষের দুঃখের কথা শুনে তার দুঃখে। চোখে জল আসে আবার কখনো কারোর আনন্দে হা হা করে হেসে হেসে ওঠেন, আবার বয়স্ক মানুষদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দ্বিধাবোধ করেন না রচনা ব্যানার্জি। অসাধারণ অভিনয়ের পাশাপাশি দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালনায় করেও তিনি প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছেন।
অভিনয় সঞ্চালনা ইত্যাদি ছাড়াও তার যে একটা পরিবার আছে তা আমরা প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাওয়া তার ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখে বুঝতে পারি। ছেলে, পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে রচনা বেশ সময় কাটান। কখনো দেশ বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কখনো আবার বন্ধুদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে বসে পানীয়তে চুমুক অথবা ব্রাউনি কামড় দিতে দিতে প্রায় ছবি তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি কখনোই তিনি পরিবারকে অবহেলা করেনি। তার ছবি মাঝেমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে ফুটে ওঠে।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই নয়, মেতে উঠেছেন নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই। রচনা ব্যানার্জীর থেকে একদমই আলাদা ছিলেননা, বাড়িতেও গণেশ বন্দনা উপলক্ষে পরিবারের মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন রচনা ব্যানার্জি। সেজেছেন একেবারে বাঙালিয়ানার পোশাকে। পুত্র থেকে শুরু করে পরিবারের অন্যান্য পুরুষরা সেজে উঠেছেন পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মহিলারাও সেজেছেন শাড়িতে। গণেশ মূর্তিকেও সাজিয়েছেন অসাধারণ সুন্দর ভাবে। ইনস্টাগ্রাম জুড়ে রচনা ব্যানার্জীর ঝলমলে ছবিতে একেবারে ভরে উঠেছে।
View this post on Instagram