Hoop PlusReality show

Rachna Banerjee: ‘শাশুড়ি কবে হবি?’ মানসীর প্রশ্নে কি উত্তর দিলেন রচনা!

টলিউডকে বিদায় জানালেও লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে বেরোতে পারেননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। বড়পর্দার থেকে অবসর নিয়ে এখন ছোটপর্দার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi Number One) হয়ে উঠেছেন তিনি। জি বাংলার এই নন ফিকশন শো রচনাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাঁর সঞ্চালনাই মূলত এই শোকে জনপ্রিয়তার চূড়ায় তুলেছে। স্টুডিও পাড়ার তারকাদের পাশাপাশি সাধারণ প্রতিযোগীদের সঙ্গেও খুব ভালো ভাবে মিশে যেতে পারেন তিনি। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের একটি পর্বের ছোট্ট এক ঝলক বেশ ভাইরাল হয়েছে। অভিনেত্রী মানসী সিনহা রচনাকে এমন এক প্রশ্ন করে বসেন যে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান এর এক পর্বে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা। হঠাৎ করেই রচনার কাছে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘তুই ছেলের বিয়ে কবে দিবি?’ প্রশ্ন শুনে সঞ্চালিকা থতমত। কোনো রকমে তিনি উত্তর দেন, ‘হয়নি এখনো বয়স’। কিন্তু মানসী শোনার পাত্র নন। তিনি বলে ওঠেন, ‘না আমি এটা চাই। তুই ছেলের বিয়ে দিবি, শাশুড়ি হবি। তাহলে যদি তোর একটু বয়স বাড়ে’। এটা শুনে আর হাসি চেপে রাখতে পারেননি রচনা। মানসীও হাসতে হাসতে বলেন, তিনি ছিলেন রচনার দিদি। তিনি নিজে মা মাসি হয়ে গেলেন। এবার ঠাকুমা, দিদিমাও হয়ে যাবেন। কিন্তু রচনার বয়সই আর বাড়ছে না! শাশুড়ি হওয়ার পর যদি একটু বাড়ে।

এমন কথা অবশ্য রচনা আগেও শুনেছেন। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি যেন একই রকম আছেন। বয়স থমকে গিয়েছে তাঁর। এক সময়ে টলিউডের লিডিং মোস্ট হিরোইনদের মধ্যে রচনা ছিলেন অন্যতম। এখন টেলিভিশনের দিদি নাম্বার ওয়ান হয়েও তাঁর বয়স যেন আগের মতোই রয়েছে। গ্ল্যামার দিন দিন বেড়েই চলেছে রচনার। আসলে নিজেকে খুব ভালো ভাবে মেনটেইন করেন তিনি। নিয়মের মধ্যে থেকেও আনন্দ করে জীবনটাকে উপভোগ করেন রচনা।

তাঁর ছেলে প্রণীলের বয়স এখন ১৫-১৬। টিনএজার ছেলেকে নিয়ে মাঝে মাঝেই দিদি নাম্বার ওয়ানে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রচনা। স্বামীর সঙ্গে আলাদা থেকে কার্যত একাই ছেলেকে বড় করেছেন তিনি। তবে তাঁর স্বামীও মাঝে মধ্যে প্রণীলের সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন। ছেলের জন্যই একসঙ্গে হ্যাপি ফ্যামিলির মতো সময় কাটান তাঁরা।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই