এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পাখির চোখ ছিল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দিকে। কারণ এখানে তারকা বনাম তারকার লড়াই। বিজেপির পোড়খাওয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) বিরুদ্ধে প্রথম বার লড়াইয়ের ময়দানে নামেন রাজনীতিতে একেবারেই নবাগতা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। দুই প্রাক্তন সতীর্থের মধ্যে রাজনীতির আঙিনায় কে দড়ি টানাটানি খেলাটা কেমন হবে সেদিকে নজর ছিল সকলেরই। শেষমেষ সমস্ত পাশার চাল উলটে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার মাস্টারস্ট্রোক রচনা
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক ছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আনা। দীর্ঘ সিনে কেরিয়ারের পর দিদি নাম্বার ওয়ান শোয়ের দৌলতে বাংলা জুড়ে যে খ্যাতি অর্জন করেছেন রচনা তা অভূতপূর্ব। এই খ্যাতিটাকেই রাজনীতিতে কাজে লাগিয়ে হুগলি কেন্দ্রকে ফের উদ্ধার করার পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর পরিকল্পনা সফল করে দেখালেন রচনা। রাজনীতিতে নেমেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু ৪ ঠা জুন রচনা বুঝিয়ে দিলেন, আসল দিদি নাম্বার ওয়ান তিনিই।
লকেট হারা হুগলি কেন্দ্র
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলেন লকেট। কিন্তু নির্বাচনে জেতার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আর হুগলি মুখো না হওয়ার। নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে বিশেষ না আসার অভিযোগ স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে ফেলে লকেটকে। আর এবার প্রথম বারের লড়াইয়েই ৫১ হাজার ৭৫৪ ভোটে লকেটকে হারালেন রচনা। মোট ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। হুগলিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লকেট।
ফুৎকারে উড়ল ট্রোল
রাজনীতিতে নেমে প্রচার শুরু করেই ট্রোলিং এর মুখে পড়েন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে তাঁর ‘ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিং হয়েছে নেট পাড়ায়। তারপরেই আবার কখনো ‘গরুর দুধ থেকে দই’, কখনো হাসির কারণে চর্চায় উঠে এসেছেন রচনা। কিন্তু ৪ ঠা জুন শেষ হাসি হেসে রচনা বুঝিয়ে দিলেন স্টুডিওর বাইরে রাজনীতিতেও তিনি দিদি নাম্বার ওয়ান।