Cyclone Effect: এখনই শেষ হচ্ছে না দুর্যোগ, জেলায় জেলায় শুরু বৃষ্টি
রেমালের তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পায়নি গোটা কলকাতার শহর। রেমালের মৃত্যু হয়েছে প্রায় ছয় জনের। সব মিলিয়ে করুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, গোটা বাংলাতে চারিদিকে, গাছ পড়ছে প্রচুর অনেক মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। সুন্দরবনের নদী বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকেছে মানুষের বসত বাড়িতে। যদিও ভোর রাতে আছড়ে পড়েছিল এই রেমাল। সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে, যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকে আর বৃষ্টির খবর শোনা যায়নি কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে একেবারে ঝলমলে রোদ উঠেছে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রেমালের প্রভাব থেকে মুক্তি পেল দক্ষিণবঙ্গ?
রেমাল এখন কোথায় অবস্থান করছে-
আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যাচ্ছে, যে দক্ষিণবঙ্গ থেকে রেমাল বিদায় নিয়েছে, কিন্তু এখনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেমালের দুর্যোগ কাটছে না। দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি না হলেও, উত্তরবঙ্গের আকাশ কিন্তু কালো হবে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের বহু জেলাতে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে –
রেমালের প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গের যেমন বিভিন্ন জেলাতে বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, ঠিক সেই সময়টা উত্তরবঙ্গের মাঝে কিন্তু একেবারেই শুকনো ছিল, তবে আজ মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের অনেকগুলি জেলাতেই বর্জ বিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কোচবিহার, কালিংপং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেই রয়েছে, এর সাথে বইবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে-
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিন্তু এখনই কিছু ছাড়ছে না। জেলায় জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, বর্ধমান, নদীয়া, ঝাড়গ্রামেও কিন্তু এই সর্তকতা জানানো হয়েছে। আগামীকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আবারো বাড়তে থাকবে, তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। জানানো হচ্ছে, আগামী ২রা জুন থেকে আবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।