Tourism: কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে মিনি বৃন্দাবন, যাবেন নাকি ঘুরতে!
বৃন্দাবন যেতে কার না ইচ্ছা করে কিন্তু সব মিলিয়ে সময় করে উঠতে পারা যায় না, বৃন্দাবনের নিধিবনের রহস্য অনেকেই জানেন, তাই তো রাত্রিবেলা নিধিবনে যাওয়া নিষেধ, কিন্তু আপনি কি জানেন? কলকাতার কাছেই আর এক জায়গায় রয়েছে নিধিবনের মতনই এমন সুন্দর রহস্যময় জায়গা। সপ্তাহান্তে পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুব সুন্দর এই জায়গাটি, তবে আর দেরি কেন ঘুরে আসুন এই অসাধারণ জায়গাতে থেকে।
এর নাম হল রাখাল রাজার মন্দির, কলকাতার কাছেই রয়েছে অসাধারণ এই মন্দিরটি। এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বৈঁচিতে তৈরি এই মন্দির কিন্তু অনেক রকম রহস্যে ভরা। যারা ইতিহাস ভালবাসেন, তারা ঘুরে আসতে পারেন, অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে তৈরি হয়েছে এই মন্দিরটি, কাটোয়ার বাসিন্দা রামকানু গোস্বামী বাসিন্দা, তিনি এই মন্দিরটি তৈরি করেন। ইনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তারপরেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বপ্নাদেশের শ্রীকৃষ্ণকে দেখেছিলেন তারপরে ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তারপরে জঙ্গলে নিজে একাই থাকতেন। তারপর তিনি বৈদ্যপুর এর কাছে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মন্দির এখন সকলের কাছেই খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। রাখাল রাজা নাকি রামকনু গোস্বামীকে স্বপ্নে বলেছিলেন, যেকিভাবে তার মূর্তি তৈরি করতে হবে, একেবারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ন্যায় পুকুরে ভেসে আসবে আর সেই কাঠ দিয়ে তৈরি করা হবে ঈশ্বরের মুর্তি।
মন্দিরের সঙ্গে আবার বৃন্দাবনের নিধিবনের অনেক মিল আছে, এই মন্দিরের সামনে যে প্রশস্ত মাঠ রয়েছে, সেখানে রয়েছে এ বহু প্রাচীন একটি বটগাছ বিকেল চারটে পর্যন্ত এই মন্দির খোলা থাকে, কিন্তু সূর্যাস্তের পরে মন্দির চত্বরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। শোনা যায়, এখানে নাকি সন্ধ্যে হলে ধেনুদের নিয়ে চড়ান, রাখাল রাজা এই মাঠের মধ্যে তাইতো এখানে অন্য কেউ আসতে পারে না, এক দৈবিক কারণেই নাকি সূর্যাস্তের পর কাউকে এখানে থাকতে দেওয়া হয় না।
এত সুন্দর জায়গা যেতে ইচ্ছে করছে? কিভাবে যাবেন জেনে নিন। রাখাল রাজার মন্দির যদি যেতে হয়, তাহলে হাওড়া বর্ধমান মেন লাইন লোকালে ট্রেন ধরে চলে যেতে হবে বৈঁচি স্টেশন, তারপর সেখান থেকে কালনাগামী যে কোন বাসে করে যেতে হবে বৈদ্যপুর, তারপরে সেখানেই আছে রাখাল রাজার মন্দির৷ এক দিনের ছুটিতে আপনার জন্য উপযুক্ত ডেস্টিনেশন হবে রাখাল রাজার মন্দির।