Arandhan Utsav: দুর্গোৎসবের আগেই পালন করা হয় রান্না পুজো, জেনে নিন রীতিনীতি
বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন অরন্ধন উৎসব বা রান্না পুজো পালন করা হয়। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের যেদিন শেষ দিন সেদিন রান্না করে পড়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শুরুর দিনেই রান্না খাওয়া হয়। তাইতো এই উৎসবকে বলা হয় অরন্ধন উৎসব। এই দিন বাড়িতে কিছুতেই উনুন জালানো যাবে না, নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ির সবচেয়ে বড় বউ যে সে প্রথম রান্না করা শুরু করবেন। তবে বর্তমান প্রজন্ম এসব এখন মানে না। মানার সময়ও নেই, সারা রাত ধরে রান্না হবে পরের দিন কোনভাবেই রান্না হবে না। সেই বাসি খাবার খেতে হবে আগের দিন ভোর বেলা পর্যন্ত রান্না হয়।
এইদিন রান্না শুরু করার আগে বাড়ির মহিলারা কতগুলি নিয়ম পালন করেন। প্রথমে রান্নাঘরকে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নেন। তারপরে একটি ফনিমনসার ডাল দিয়ে মনসার ঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন অর্থাৎ অমাবস্যার দিন সারারাত উনন জলে এই রান্না করা হয়। কখনো আমিষ ভোগ দেওয়া হয় কখনো আবার নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়, অঞ্চলভেদে একেক জায়গায় একেক রকম হয়। তবে যাই দেওয়া হোক না কেন কিন্তু পদ ভীষণ সুস্বাদু হয়, আমিষের তালিকায় থাকে ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ, এছাড়াও নিরামিষ এর তালিকায় থাকে কচু শাক। পাঁচ রকম ভাজা, শাক, পান্তা,, মুসুর ডাল শুকনো, এছাড়া চাটনি। দুর্গাপুজো আসার আগে বাঙালির মেতে ওঠে অরন্ধন উৎসবে। বিশ্বকর্মা পুজোর পরেই অরন্ধন উৎসব বা রান্না পুজো সাধারণত ঘটি বাড়িতেই হয়ে থাকে।