পার্সেলের মধ্যে মাদক উদ্ধার! মুম্বই পুলিশের কাছে আইনি যাঁতাকলে রণজয়
মুম্বই বিমানবন্দরে ধরা পড়েছে একটি পার্সেল। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পাসপোর্ট, ল্যাপটপ এবং মাদক। রণজয় বিষ্ণুর (Ranojoy Bishnu) নামে রয়েছে ওই আটক হওয়া পার্সেল। এমনি হুমকি দিয়ে আচমকাই এক উড়ো ফোন আসে অভিনেতার কাছে। হতে পারত বড়সড় বিপত্তি। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন রণজয়।
ব্যাপারটা ঠিক কী হয়েছে? দিন দুয়েক আগে একটি উড়ো ফোন আসে রণজয়ের কাছে। অভিনেতা জানান, তাঁকে বলা হয় যে তাঁর নামে একটি পার্সেল রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট, এমডিএম মাদক এবং কয়েকটি ল্যাপটপ রয়েছে। ওই পার্সেলের জন্য টাকা দিতে বলা হয় রণজয়কে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে ওগুলি তাঁর পার্সেল নয়। এরপরেই তাঁকে মুম্বই পুলিশের অন্ধেরি থানার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করানো হয়। রণজয় বলেন, তখনি তিনি আঁচ পান যে গোটাটাই সাজানো হতে পারে।
এখানেই ঘটনার শেষ নয়। রণজয় জানান, একেবারে পাকা অভিনেতার মতোই মুম্বই পুলিশের একজন অফিসার সেজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন একজন। ওই ব্যক্তি রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, এখনি একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ভিডিও কনফারেন্সে কথা না বললে বড় বিপদ হয়ে যাবে। রণজয় জানান, তখনি তিনি নিশ্চিত হয়ে যান যে গোটাটা প্রতারণার ফাঁদ।
মোবাইল ফোনে এবং সাইবারে প্রতারণার হার ক্রমে বেড়ে চলেছে। নিত্য নতুন পদ্ধতি খুঁজে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে প্রতারকরা। ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রু থেকে আমজনতাও পা দিয়েছে এই ধরণের প্রতারণায়। তবে উপস্থিত বুদ্ধির জেরে রক্ষা পান রণজয়। বাকিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে রণজয় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর নাম এবং ছবি ব্যবহার করে নতুনদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। আর্থিক প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ভিডিওতে রণজয় বলেছিলেন, তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন যে তাঁর একটি লুক সেটের ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে তিনি নাকি নতুন একটি সিরিয়াল করতে চলেছেন। সেখানে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেক নতুন অভিনেতাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।