সিরিয়াল শুরু হতে না হতেই শ্বেতার বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ রণজয়ের
সবে সবে শুরু হয়েছে জি বাংলার নতুন সিরিয়াল ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Bhesechhe)। শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya) আর রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu) প্রথম বার জুটি বেঁধেছেন কোনো প্রোজেক্টে। আর শুরু হতে না হতেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে ধারাবাহিকটি। আপন করে নেওয়ার মতো গল্প, শ্যামলীর জীবনের প্রতিকূলতা গুলির সঙ্গে নিজেদেরও একাত্ম করে ফেলেছেন দর্শকরা। অনিকেত শ্যামলী ওরফে রণজয় শ্বেতার রসায়ন বেশ পছন্দ করছেন দর্শকরা। এর মাঝেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এক বড়সড় অভিযোগ করে বসলেন রণজয়।
না না, চমকাবেন না। শ্বেতার বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ করেননি রণজয়। আসলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের নতুন সিরিয়াল এবং সকলের মধ্যে সম্পর্কের কথা নিয়ে খুনসুটি করতে করতে রণজয় বলে ওঠেন, তাঁদের ছেলেদের মেকআপ রুমটা নাকি অনেকটাই দূর। সেখান থেকে হেঁটে সেটে এসে বারবার ফেরত যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি মেকআপ করে সোজা সেটে চলে আসেন। তারপর আশেপাশে ঘোরেন। এদিকে মেয়েদের মেকআপ রুমটা একেবারে সেটের পাশে।
রণজয় মজা করে বলেন, শ্বেতা যে হেতু জি বাংলার ঘরের মেয়ে, এতদিন ধরে চ্যানেলে রয়েছেন তিনি, তাই একেবারে পাশেই ঘর দিয়েছে। আর তাঁকে পাঠানো হয়েছে এত দূরে। হেঁটে হেঁটে যোগ্যতা দেখিয়ে আসতে হবে, এমন ব্যাপার। রণজয়ের কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়ার জোগাড় পাশে বসে থাকা শ্বেতার। বোঝাই গিয়েছে, পর্দার অনিকেত বেশ গম্ভীর মানুষ হলেও বাস্তবে রণজয় কিন্তু বেশ হাসিখুশি মজার।
এই সাক্ষাৎকারেই এক গোপন কথা ফাঁস করেন রণজয়। তিনি জানান, তাঁর প্রথম সম্পর্কের বাড়িতে এখনো জানে না আর কোনোদিন জানবেও না। এক স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেম করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রেমিকা ছিলেন তাঁর থেকে বয়সে প্রায় ১৪ বছরের বড়। রণজয় আরো জানান, তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। তারপর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বর্তমানে নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন রণজয়।