Ration Card: রেশন কার্ডের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনছে সরকার, জেনে রাখলে আপনার লাভ
স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।
আর এবার এই রেশন কার্ড নিয়েই এল এক বড়সড় আপডেট। এখন আপনি যদি একজন রেশন কার্ড হোল্ডার হয়ে থাকেন, কিংবা নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য কার্যকরী হতে চলেছে। কারণ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক রেশন কার্ডের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। পিডিএফ আকারে এই নতুন তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই তালিকা দেশের নাগরিকদের রেশন কার্ডের নতুন তালিকা বলে জানা গেছে।
এবার আপনি যদি রেশন কার্ডের জন্য আগে আবেদন করে থাকেন, তাহলে সেই তালিকায় মিলিয়ে দেখে নিন যে সেই তালিকায় আপনার নাম সংযুক্ত হয়েছে কিনা, তা মিলিয়ে দেখে নিতে হবে। এর জন্য আবেদনের পর আপনাকে যে রশিদ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই আপনি আপনার বিস্তারিত তথ্য ও ব্লক নম্বর পেয়ে যাবেন। সেই অনুযায়ী সার্চ করলেই বেরিয়ে আসবে আপনার নাম। এছাড়াও যদি আপনি রেশন কার্ড হোল্ডার হয়ে থাকেন, তাহলেও আপনার মিলিয়ে নেওয়া জরুরি। কারণ সম্প্রতি অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করেছে খাদ্যমন্ত্রক। তাই আপনার নাম বাদ গেছে কিনা, তাও মিলিয়ে দেখে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, নতুন রেশন কার্ড তৈরির আবেদন করার পদ্ধতিটিও এখন সহজ করেছে সরকার। এজন্য স্থানীয় ব্লক অফিস এবং জেলা অফিসে গেলেই হবে। রেশন কার্ড তৈরির জন্য বর্তমানে আপনার যেসব নথি আবশ্যকীয়, সেগুলি হল- আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের বিবরণ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, রেসিডেন্স সার্টিফিকেট, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি ইত্যাদি।