Sovan-Baishakhi: দশমীতে ঘটা করে সিঁদুরদান শোভন-বৈশাখীর, একাদশীতে হুংকার রত্না-মনোজিতের!
‘এক চুটকি সিন্দুর কী কিমৎ’ বুঝিয়ে দিলেন শোভন-বৈশাখী। দশমীর সন্ধ্যায় এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মায়ের সামনেই বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নাহ, প্রাক্তন মেয়র শোভন বাবুর এখনও ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। শোভন বাবু ডিভোর্সের আবেদন করলেও বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কোনো সদুত্তর পাননি। শোভন বাবু এখন ৬০ এর দিকে ধাববান, এই বয়সে তিনি নতুন করে সঙ্গী খুঁজে নিয়েছেন। বর্তমানে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকেন তিনি।
প্রেম নিয়ে অকপট শোভন বৈশাখী। এবং সিঁদুর নিয়েও তাদের মনে খুশির জোয়ার। সামাজিক স্বীকৃতি নিজেরাই আদায় করে নিয়েছেন তারা। বাকি রইলো আইনি ব্যাবস্থা। এই মুহূর্তে বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল দিলেন সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া। তার কথায়, ‘আমার এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য নেই। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।’
এদিকে, শোভন বাবুর বর্তমান স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্রী নন। একাদশীর দিন তিনি রীতিমত হুংকার দিয়ে বলেন, সিঁদুরের মানে কি জানেন শোভনবাবু? আইনি ভাবে ও এখনও আমার স্বামী। আমি স্ত্রী। ডিভোর্স আমি দেবই না। আগামী সাত জন্মেও ডিভোর্স আমি দেবো না। এখানেই দমে যাননি তিনি। এও বলেন শোভন বৈশাখীর উদ্দেশ্যে – স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য মহিলার সঙ্গে থাকলে সমাজ তাকে রক্ষিতা বলে। আর রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না। এখানেই শেষ নয়, রত্না আরও বলেছেন, দুর্গাপ্রতিমার পিছনে যে বাঁশ থাকে, আমিই সেই বাঁশ। ওরা বিয়ের কথা ভাবুক, তারপর দেখছি আমি কী করা যায়।