তিন বছর ধরেই চলছিল প্রেম। তাই এই বিয়ের সিজনে শুভ কাজটা সেরেই নিলেন এই তারকা দম্পতি। ইনি আর কেউ নন,উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চ্যাটাজী ও বিধায়ক দেবাশীষ কুমারের মেয়ে দেবলীনা কুমার। উত্তম কুমারের নাতির বিয়ে বলে কথা তাই পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান হল বেস রাজকীয় ভাবে। গৌরব-দেবলীনার বিবাহ সুসম্পন্ন। তারপরও এখনো অনেক আচার অনুষ্ঠান চলছেই। আর এই অনুষ্ঠানের জন্য এই কাপল এখন পেজ থ্রির শিরোনামে।
হিন্দু বিয়ের আচার কানুন মেনে ৯ই ডিসেম্বরের সকালে নান্দীমুখ, গায়ে হলুদ, পান পাতা সরানো, মালা বদল, সাত পাকে ঘুরে বৈদিক নিয়মে বিয়ে করলেন। শুধু হয়নি কোনো সম্প্রদান। কারণ দেবলীনা মনে করেন মেয়েরা কোনো দানের সামগ্রী নয় তাই তিনি বিয়ে থেকে এই নিয়ম বাদ দিলেন। সব নিয়ম নীতি নিষ্ঠার সাথে মেনে লাল ডিজাইনার শাড়ি আর গহনা ও গৌরব ডিজাইনার পাঞ্জাবি পড়ে চোখে চোখ রেখে হই হুল্লোড় করে বিয়েটা সারলেন।
একটি বাঙালির বিয়ে মানেই মেহেন্দি, আইবুড়োভাত, গায়ে হলুদ, বিয়ে বউভাত আর রিসেপশান। উত্তিম কুমারের বিয়েতে এই করোনা পরিস্থিতিতে ছিলনা কোনো খামতি। বৌভাতের পর জমজমাট সঙ্গীত অনুষ্ঠান হয় ক্যালকাটা বোটিং ক্লাবে হয়। আর তাতে নাচে গানে জমিয়ে দিলেন নবদম্পতি। এই দিন হাল্কা সবুজ প্রিন্টেড সুন্দর লেহেঙ্গা আর হাতে চূড়া আর সুন্দর করে সেজে আর গৌরব সাদা ইন্দোওয়েস্টার্ন সাজে স্ত্রীর সাথে বলিউড গান আঁখ মারে তো আবার কখনো স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে দাদুর সিনেমার একটি গান ওই চাঁদ তোমার আমার গানে নাচলেন। নানান মুহূর্ত এই দুই পরিবারের সদস্যরা শেয়ার করলেন।
বিয়ে সঙ্গীত সবই হল। এখনো বাকি গ্র্যান্ড রিসেপশান। সেটাও ১৫ই ডিসেম্বর সুসম্পন্ন হল। নিজের স্বপ্নের নায়িকাকে পেয়ে বেশ খুশি মথুরবাবু। এই দিন বাইপাসের ধারে পি সি চন্দ্র গার্ডেন হাজার আলোর রোশনায় সাজিয়ে খ্রিস্টান মতে বিয়েটা সেরে নিলেন গৌরব দেবলীনা। এই বিয়েতে ফাদার এসে আশীর্বাদ করেছেন নবদম্পতিকে। নিয়ম মেনে কাটা হয়েছে কেক। সাদা গাউনে দেবলীনা যেন উজ্জ্বল পরী আর কালো ব্লেজারে গৌরবও হ্যান্ডসাম হাঙ্ক।
ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিল ক্লাসিক হিন্দি গান। এই দিন অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট উপস্থিত। সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানালি দে, অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অলকানন্দা রায়,সন্দীপ্তা রাহুল, দিতীপ্রিয়া রায়, রাসিদ খান, সাহেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ৷ এই দিন খাবারের মেনু ছিল কন্টিনেন্টাল। হাসি মজা,গান,সেলফিতে রিসেপশানের দিনটি কেটে যায়। এবার পালা মধুচন্দ্রিমার। আর মধুচন্দ্রিমায় দার্জিলিং কে বেছে নিলেন এই হেভিওয়েট কাপল।