বাড়িতে বসেই হাতে মোটা টাকা, পুরনো জামাকাপড় থেকেই আসবে লক্ষ্মী!
মনমতো পোশাক (Old Clothes) খুঁজতে গিয়ে কখনো এমন মনে হয়েছে যে পরার মতো কিছুই নেই? এদিকে আলমারিতে হরেক ধরণের পোশাক ঠাসা। এমন ঘটনা অনেক মেয়েদের সঙ্গেই ঘটে থাকে। কোনো উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে শখ করে একটা জামা কেনা হলে সেটা হয়তো এক দু বার ছাড়া আর পরাই হয় না। ফ্যাশন ট্রেন্ড বদলে যাওয়ায় পরের বছর ফের নতুন পোশাক কেনা হয়। এই করেই আলমারি, কাবার্ডে জমতে থাকে পুরনো জামাকাপড়ের পাহাড়। আবার সেসব এতটাই নতুন যে প্রাণে ধরে ফেলেও দেওয়া যায় না। এমতাবস্থায় ‘রিসাইকেল’ করে সহজেই তথাকথিত পুরনো জামাকে করে তুলতে পারেন সম্পূর্ণ নতুন।
রিসাইক্লিং কথাটার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। জামাকাপড়ও সহজেই পুনর্ব্যবহার করা যায়। বাড়িতে নিজেই পুরনো জামাকে নতুন ভাবে বানিয়ে তুলতে পারেন। পছন্দের কোনো জমকালো শাড়ি, যা এক দু বারের বেশি পরাই হয় না, সেটাকে কেটে বানিয়ে তুলতে পারেন দারুণ লেহেঙ্গা। ১২ হাতের শাড়ি থেকে লেহেঙ্গা তৈরির সমস্ত মেটেরিয়ালই পাওয়া যাবে। নতুন জামাও হবে আবার দেখে বোঝাও যাবে না যে রিসাইকেল করা।
নিজে যদি পুরনো জামা না পরতে চান তাহলে সেটা দান করে দিতে পারেন। বহু এনজিও রয়েছে যেখানে পুরনো ব্যবহারযোগ্য জামা দান করা যায়। একটা পুরনো জামা থেকেই হাসি ফুটতে পারে অনেক মলিন মুখে। এখন থ্রিফট স্টোর এর চলও বাড়ছে। নিজের পুরনো জামা এই ধরণের স্টোরে দিলে, অন্য কারোর পছন্দ হলে সে সেটা নিতে পারে। এভাবেও পুনর্ব্যবহার করা যায় পোশাক।
অনলাইনে করা যায় না, হেন কাজ আর কিছুই নেই বর্তমানে। অনলাইনে পুরনো পোশাকও বিক্রি করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটা হতে হবে ব্যবহারযোগ্য। পুরনো জামাকে ভালো করে কেচে ধুয়ে নতুনের মতো করে ছবি তুলে আপলোড করতে পারেন অনলাইনে। ইটসি, ইবে, থ্রেডআপ এর মতো প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসেও পুরনো জামাকাপড় বিক্রি করা যায়।
পুরনো জামা থেকে শুধু যে আরেকটা পোশাকই তৈরি করা যায় তা নয়। পুরনো কোনো জামার মেটিরিয়াল কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্টাইলিশ ব্যাগ। কিংবা নতুন ডিজাইনের ক্রপ টপও হয়ে যেতে পারে পুরনো জামা থেকেই।