GossipHoop Plus

Rekha: শুটের মাঝে কিশোরী রেখাকে ঘনিষ্ঠ চুমু খান প্রসেনজিতের বাবা বিশ্বজিৎ, বিতর্কের মুখে পড়েছিল এই সিনেমা

মেয়েরা নাকি কুড়ি তেই বুড়ি। এই প্রচলিত কথাকে ভুল প্রমাণিত করে দশকের পর দশক ধরে সিনেপ্রেমীদের মনে রাজত্ব করে আসছেন রেখা (Rekha)। তিনি ‘ফরএভার ইয়াং’। সময়ের চাকা তাঁর কাছে এসেই যেন থমকে যায়। ৭০ ছুঁইছুঁই বয়সেও তাঁর গ্ল্যামার দেখে ঈর্ষান্বিত হন যুবতী নায়িকারা। নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে সবথেকে সফল এবং চর্চিত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তেমনি বহু বিতর্কও জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে।

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার বিশেষ সম্পর্কের গুঞ্জন আজো শোনা যায় বলি পাড়ার অন্দরে। এছাড়াও আরো একাধিক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে রেখার সঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যার চর্চা এখনো হয় বিটাউনে। সেটা অভিনেত্রীর কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের ঘটনা। ‘অনজানা সফর’ ছবিতে ১৫ বছর বয়সী রেখার নায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ওই ছবিতে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল দুজনের মধ্যে। একটি রোম্যান্টিক গানে রেখাকে চুম্বন করেছিলেন বিশ্বজিৎ, যে দৃশ্যটা ছিল প্রায় ৫ মিনিট লম্বা।

রেখা এই দৃশ্যের ব্যাপারে আগে থেকে কিছুই জানতেন না। শুটিংয়ের মাঝে হঠাৎ করেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতে শুরু করেন বিশ্বজিৎ। তরুণী রেখা ঘটনার আকস্মিকতায় ভয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। পরে এই ঘটনার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, রেখা যাতে দৃশ্যটির উপযুক্ত এক্সপ্রেশন দিতে পারেন তাই এমন কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ছবিটি সে সময়ে মুক্তি পায়নি। চুম্বন দৃশ্যটি তৎকালীন দর্শকদের জন্য বাড়াবাড়ি হওয়ায় সেন্সর বোর্ডের তরফে ছবির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৬৯ সালে নাম বদলে ‘দো শিকারি’ নামে মুক্তি পায় ছবিটি।

 

কিন্তু এই বিতর্ক স্তিমিত হয়নি। ১৯৯৬ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে একই রকম কাণ্ড ঘটিয়ে ছিছিক্কার শুনেছিলেন রেখা। ‘খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি’ ছবিতে অক্ষয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সে সময়ে অভিনেতা রেখার থেকে অন্তত ১৩ বছরের ছোট ছিলেন। ছবিতে একটি গানের দৃশ্যে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে নিজের নখ দিয়ে অক্ষয়ের পিঠে আঁচড়ে দিয়েছিলেন রেখা। এই ছবির পরে এমনো খবর ছড়িয়েছিল, অক্ষয়ের সঙ্গে নাকি প্রেম করছিলেন তিনি। বহু নিন্দা শুনতে হয়েছিল রেখাকে।

Related Articles