মানবতার নজির গড়লেন রেমো, পিতৃহারা খুদে প্রতিযোগীর ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিলেন নিজের কাঁধে
সম্প্রতি জিটিভিতে শুরু হয়েছে ডান্স রিয়্যালিটি শো ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স। এবারের সিজনে বিচারকের আসনে আসীন হয়েছেন মৌনী রায় যিনি সম্প্রতি কিছুদিন আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিচারকের আসনে অন্যতম চমক হলো সোনালী বেন্দ্রে। ক্যান্সার জয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম টেলিভিশন বিচারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। এই দুই মহারথীর পাশাপাশি বিচারকের আসনে রয়েছেন রেমো ডি সুজা।
এই নাচের মঞ্চে এক প্রতিযোগীর জন্য যা যা করলেন তাতে তাঁকে মসিহা বললেও কিছু কম বলা হয় না। এক প্রতিযোগীর পরিবারের প্রতিটি মানুষ ঋণের চাপে বিধ্বস্ত। সহায়-সম্বল সব হারিয়ে নিঃস্ব তারা। অভাবের কারণে যেন বেঁচে থাকার অন্যতম বাধা। এমন সময় সেই পরিবারের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন রেমো ডি সুজা। ব্যাংকের দেনাতে জর্জরিত সেই পরিবার। এবার নিজেই সেই ব্যাংক ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন রেমো ডি সুজা।
রেমো ডি সুজা পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বলেন,“ঋণের বাড়তি চাপ হিমাংশু বা তার পরিবারের ওপর এসে পড়ুক এটা আমি চাইনা। ওই রিক্সাটি তো তোমাদের। সব সময় বাচ্চাদের নিয়ে খুশি থাকবে। ব্যাংক ঋণ শোধ করার কোন ঝামেলা তোমাদের কাঁধে নিতে হবে না এখন থেকে তোমাদের সব ইএমআই পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার।” রেমোর এই ব্যবহারে আপ্লুত হয়েছে সকল ভারতবাসী। রেমোর এই পরিবারের সঙ্গে পরিচয় মাত্র কিছুদিনের। তাও আবার এই পরিচয় রিয়্যালিটি শোর মাধ্যমেই হয়। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষদের এই জীবন যুদ্ধের কাহিনী শুনে অপরাগ থাকতে পারেননি তিনি। নিজের সাধ্যমত সর্বোত্তম সাহায্যের হাত বাড়াতে চান তিনি। রেমো এই কাজের জন্য তিনি হয়তো কোন পার্থিব সম্পদ পাবেন না। কিন্তু তাঁর এই কাজের জন্য আবেগে সকল দর্শকদের মন ভিজে গিয়েছে। একরাশ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন হিমাংশুর পরিবার।
অভাবী ওই প্রতিযোগী হিমাংশু দিল্লির বাসিন্দা। খুব ছোট থাকতেই পিতৃবিয়োগ হয় তার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তোয়াক্কা না করে সংসার চালানোর জন্য একটি রিক্সা কিনে উপার্জনের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তাঁর মা। সেই রিক্সাটি কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিতে বাধ্য হয় সে। অভাবের এই সংসারে তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল একরাশ যন্ত্রণা এবং অপমান। যদিও রেমোর এই মানবিক আবেদনে পরিবারের যন্ত্রণা অনেকটাই লাঘব হবে বলে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিমাংশুর পরিবারের প্রত্যেকে।