Lifestyle: রুটি না ভাত! ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনটি তুলনামূলক উপযুক্ত
রুটি বনাম ভাত নিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। কেউ রুটি’কে আপন করে নিয়েছে তো কেউ ভাতকে। কেউ মনে করে ভাত নয়, রুটিতে কমবে ওজন, আবার অনেকে মনে করেন সামান্য ভাত খেলে কিছু হয় না, কারণ ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তি বর্ধক। HoopHaap.com জানাচ্ছে মধুমেহ রোগীদের জন্য কোনটা পারফেক্ট, ভয় না রুটি? চলুন দেখে নিই এক ঝলকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রুটির থেকেও ভাত বেশি উপকারী, তবে সাদা ভাত নয়, খেতে হবে ব্রাউন রাইস, এবং অল্প পরিমাণে। কারণ –
১) ভাত প্রধানত শর্করা সরবরাহ করে। তাই সারাদিনের মধ্যে মাত্র একবার ব্রাউন রাইস মধুমেহ রোগীরা খেতে পারেন। বেশি ভাত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়বে। সাধারণত একজন ডায়াবেটিক রোগী সারাদিনে এক কাপ ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। তবে, রাইস বা ভাত খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২) রুটি খেলে সারাদিন একটি মাত্র রুটি খেতে পারেন অন্যান্য সবজি, ডাল, টক দই, চিকেন স্টু, বা মাছের সঙ্গে। রুটি, ময়দার হলে চলবে না। আটার তৈরি হাতে গড়া রুটি একটি খাওয়া যেতে পারে বা দুটি।
৩) জানতে হবে গমে থাকে গ্লুটেন নামের এক উপাদান, এবং এটি দ্রুত হজম হয় না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত, যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে তাদের গমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত,যেমন – পাউরুটি, স্যান্ডুইচ, পিৎজা, পাস্তা, কেক ইত্যাদি।
৪) ময়দার তৈরি খাবার বেশি খেলে শরীরে পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় পরিবর্তন হয়। এবং এই পরিবর্তনের প্রভাবে শরীরের বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ অনেকটা বেড়ে যায়। এতে করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ময়দা বা গমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
Disclaimer : যাদের মধুমেহ বা ডায়াবেটিস আছে তাদের সবসময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে খাবার খাওয়া উচিত, সেটি রুটি হোক বা ভাত।