14 ই জুন হয়ে গিয়েছে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’-র শেষ শুটিং। প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা হতে চলল, এখনও অবধি রূপা গাঙ্গুলী (Rupa Ganguly) ভুলতে পারছেন না তাঁর ‘মেয়েবেলা’-র অভিজ্ঞতা। বিদায়বেলায় সকলের মন খারাপ। কিন্তু রূপা বিদায় নিয়েছেন এক মাস আগেই। ‘মেয়েবেলা’-র চিত্রনাট্য পছন্দ হচ্ছিল না রূপার। ফলে আচমকাই ধারাবাহিক ছেড়ে দেন তিনি। এরপর এই ঘটনা নিয়ে চলেছে চাপান-উতোর। এর মধ্যেই রূপার পরিবর্তে বীথিকা মিত্রর চরিত্রে এসেছেন অনুশ্রী দাস (Anushree Das)। কিন্তু অনুশ্রীর দক্ষ অভিনয় সত্ত্বেও ‘মেয়েবেলা’-র দর্শক তাঁকে আপন করতে পারেননি। ফলে টিআরপি নেমে গিয়েছে তলানিতে। হয়েছে স্লট পরিবর্তন এবং শেষ শুটিং। কিন্তু আবারও ‘মেয়েবেলা’ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রূপা।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রূপা জানিয়েছেন, তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুঃখ দেওয়া হয়েছিল। শুটিং ফ্লোরে তাঁকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রূপা। প্রযোজক ও অন্যান্য ব্যক্তিদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হলেও তা মিথ্যা। পাশাপাশি রূপা তুলেছেন নিয়মানুবর্তিতার কথাও। তিনি জানিয়েছেন, পুরানো পদ্ধতি অনুসরণ করেন তিনি। সকাল সাতটায় তাঁর কল টাইম থাকলে সাতটা বেজে পনের মিনিটের মধ্যে মেকআপ সহ ফ্লোরে প্রবেশ করতে পছন্দ করেন রূপা। জীবনের শেষ দিন অবধি তা মেনে যদি কাজের সুযোগ পান তবেই কাজ করতে রাজি তিনি। ‘মেয়েবেলা’-য় তাঁকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মুছে গিয়েছিল পনের দিনের মধ্যে। ভবিষ্যতে এই ধরনের মিথ্যাচারের ফাঁদে পা দিতে রাজি নন রূপা।
এমনকি রূপা জানান, তাঁকে স্ক্রিপ্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পাঁচ-সাতটা ওয়ানলাইনার পাবেন তিনি। গল্পের গতিপ্রকৃতি জানতে পারার কথা ছিল রূপার। কিন্তু তা হয়নি। রূপা নিজে চেয়েও পাননি। বরং চোখরাঙানির সম্মুখীন হয়েছেন। সমঝোতা করে কাজ করতে চান না তিনি। তার তুলনায় বাড়িতে বসে গান শোনা ও বই পড়া তাঁর অনেক পছন্দের।
বোঝা যাচ্ছে, ‘মেয়েবেলা’-র বিদায়বেলাতেও আবারও নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক। অর্থাৎ “শেষ হয়েও হইল না শেষ”।
View this post on Instagram