দুই শিল্পীর সঙ্গে তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব। একজন প্রয়াত, অন্যজন জীবিত। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে চলে যান kk. এই রাজ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে অকালে হৃদ স্পন্দন থেমে যায় শিল্পীর। এরমধ্যেই, মানুষ দু’দলে ভাগ হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ kk র সমর্থনে আওয়াজ তোলেন, কিছু মানুষ রূপঙ্কর বাগচীর সমর্থনে পাশে দাঁড়ান। অপমানের জেরে বাড়িতেও পুলিশি নিরাপত্তা নিতে হয় শিল্পীকে, স্ত্রীর কাছে আসে একের পর এক থ্রেট কল। পরবর্তীতে, প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রূপঙ্কর।
সেদিন, রূপঙ্কর বলেন, প্রয়াত কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিদ্বেষ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওঁর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্যও আপনারা একইরকম দরদ দেখান। ব্যক্তিগত ভাবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় গায়ক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত কোনও হতাশা নেই। কিন্তু বাঙালি গায়ক হিসেবে সমষ্টিগত বিপন্নতা রয়েছে। ইদানিং আরও বেশি করে বারবার মনে হয় দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতে যেভাবে তারা শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে ,আমরা যেন সেটা করতে দ্বিধাগ্রস্ত। শিল্প -সাহিত্য -সংগীত সবেতেই প্রাদেশিক পারফর্মার যেন কঠিন খাদের ধারে এক অস্তিত্বের সংকটে দাঁড়িয়ে। তাই আমি একার কথা বলতে চাইনি।একটা সমষ্টির কথা বলতে চেয়েছিলাম।
পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হতেই কলকাতার একটি হলে স্টেজ শো করার ডাক পান। আসে গানের অনুরোধ। সেদিন গাইলেন ‘আমার মতে তোর মতন কেউ নেই’-সহ আরও কিছু গান।
মানুষের স্মৃতি দুর্বল। মানুষ একদিন হৈহৈ করে, দ্বিতীয়দিন পর সবটাই ভুলে যায়। তাই কে কাকে অপমান করলো বা কে কি করলো তাতে মানুষের হুঁশ নেই।