অনেকগুলি দিন কেটে গিয়েছে কেকে (KK) চলে যাওয়ার পর। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এখনও বিতর্কিত রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। বাঙালির একসময়ের প্রিয় গায়ক এক রাতের মধ্যেই পরিণত হয়েছেন ভিলেনে। ভুবনেশ্বরে বসে কেকের লাইভ পারফরম্যান্সের সময় প্রশ্ন তুলেছেন কেকে কে! সেই রাতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে অকালে চলে গেলেন কেকে। এরপরেই নেটিজেনদের ধিক্কারে ভরে গেল সোশ্যাল মিডিয়া। পরে রূপঙ্কর কাগজ দেখে ক্ষমা চাইলেও স্বাভাবিক ভাবেই তা গ্রহণ করেননি অগুণতি মানুষ। সেই রাতের জের আজও বহন করে চলেছেন রূপঙ্কর। এমনকি ছাড় পাননি তাঁর প্রয়াত মা-ও।
View this post on Instagram
বৃহস্পতিবার ছিল রূপঙ্করের প্রয়াত মা সুমিত্রা বাগচী(Sumitra Bagchi)-র জন্মদিন। এদিন মাকে স্মরণ করে একটি গান গেয়েছেন রূপঙ্কর। সেটি তাঁর মায়ের প্রিয় গান। মায়ের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে রূপঙ্কর বলেন, তাঁর মা বেঁচে থাকলে এই বছর তিনি বাহাত্তর পূর্ণ করে তিয়াত্তরে পড়তেন। তবে রূপঙ্করের মতে, তাঁর মা বেঁচে না থেকেই ভালো হয়েছে। নাহলে তিনিও এই বয়সে হয়তো ধর্ষণের হুমকি পেতেন। তাঁর অপরাধ, তিনি রূপঙ্করের মা। রূপঙ্কর স্বীকার করেছেন, দুই মাস আগে সত্যিই তাঁর মাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মর্মাহত রূপঙ্কর। তাঁর কারণে তাঁর মাকে এই আঘাত পেতে হয়েছে। তবে তাঁর মা প্রয়াত হওয়ার কারণে এই যন্ত্রণা ও অপমান থেকে রেহাই পেলেন ভেবে স্বস্তি বোধ করছেন রূপঙ্কর।
রূপঙ্করের মতে, জনপ্রিয়তার কারণে তারকাসুলভ জীবন যাপন করতে হলেও তাঁর পরিবার বরাবর মাটির কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন। রূপঙ্করকে কটুক্তি করলে খারাপ লাগে তাঁর মেয়ের। তবে বর্তমানে রূপঙ্কর পরিস্থিতির ইতিবাচক দিক দেখার চেষ্টা করছেন। তাঁর মতে, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকার কারণে কমেছে বর্তমান প্রজন্মের ধৈর্য্য। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া তাঁদের হতাশা প্রকাশের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
রূপঙ্কর নিজের মতো করে গান গাইছেন। রেকর্ডিং করার পাশাপাশি মঞ্চেও বেশ কিছু অনুষ্ঠান করেছেন। সেখানে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। অপরদিকে কিছু অনুষ্ঠান উদ্যোক্তারা বাতিল করেছেন বিতর্কের ভয়ে।