Aindrila Sharma: মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই: সব্যসাচী চৌধুরী
বৃহস্পতিবারই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলনামূলক ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হয়তো লাখো মানুষের প্রার্থযা শুনেছেন ঈশ্বর, তাই স্বাভাবিকের পথে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। আর গতকাল ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচীর (Sabyasachi Choudhury) পোস্টে দেখা গেল তারই প্রতিফলন। গতকাল ফেসবুকে একটি লম্বা লেখা পোস্ট করেন সব্যসাচী চৌধুরী। সেখানে তিনি শুরুতেই লেখেন, ‘কয়েকহাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য এতখানি লেখার প্রয়োজন ছিল’। একইসঙ্গে তিনি ঐন্দ্রিলার শরীরের অবস্থা যে উন্নত হয়েছে, সেকথা জানিয়েছেন সব্যসাচী। এবং পোস্টের শেষে একাংশ নেটিজেনকে ‘শকুন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
পোস্টের শুরুতেই সব্যসাচী বুধবারের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে লেখেন, ‘পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন, হসপিটালের নিচে পুলিশ পোস্টিং, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কিছু উত্তেজিত ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন নিচে ঘোরাঘুরি করছেন।’ এছাড়াও বুধবার রাতে ঐন্দ্রিলার ভুয়ো মৃত্যুসংবাদ ছড়ানো প্রসঙ্গে সব্যসাচী লেখেন, ‘ইতিমধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে কারা যেন মাঝরাতে ছড়িয়ে দিয়েছে যে ঐন্দ্রিলা আর নেই। বানের জলের মতন হুহু করে ফোন ঢুকতে শুরু করলো, সৌরভ শুটিংয়ে বাইরে গেছে, দিব্য একা সামলাতে পারছে না। অগত্যা ঠেকা দেওয়ার জন্য আমি পোস্ট করতে বাধ্য হলাম, মিনিট কুড়ির মধ্যে আবার সব শান্ত।’
তবে মিরাকল যে ঘটেছে সেকথা অস্বীকার করেননি সব্যসাচী নিজেও। তাই তিনি অকপটে লিখেছেন, ‘যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে।’ তবে এসবের পাশাপাশি অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর মন্তব্য প্রসঙ্গেও এদিন লেখেন সব্যসাচী। তিনি লেখেন, ‘ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি।’
তবে এই পোস্টের শেষে ঐন্দ্রিলার এই অসুস্থতার মাঝেও যে গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন, সেকথা স্বীকার করেছেন সব্যসাচী। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘তবে গত দুদিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটামাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং।’ পোস্টের শেষে সব্যসাচী লেখেন, ‘ ঐন্দ্রিলা আছে। ঐন্দ্রিলা থাকবে। রাখে বড়মা, তো মারে কোন..’।