School Timing: ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর, তীব্র গরমের জেরে পঠন-পাঠনে হতে পারে পরিবর্তন
দক্ষিণবঙ্গের তীব্র গরমে স্কুলের সময় বদলের পরামর্শ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঠিক এমনটাই জানানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সরকারি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে স্কুলের সময়ের বদল ঘটানো যেতে পারে। তবে এর জন্য স্কুলের পঠন পাঠন বা মিড মিলের পরিষেবা যেমন থাকার তেমনি থাকবে। সরকার এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এমন নিয়ম কার্যকর (School Timing Change) করা হবে।
স্কুলের সময় পরিবর্তন করা নিয়ে কি বলা হলো?
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিক এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে একটা বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, রাজ্য জুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে। তাতে যদি প্রয়োজন মনে করা হয়, তাহলে সময় চেঞ্জ করা যেতে পারে স্কুলগুলোর। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম লাঘু থাকবে। সরকারি সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে, ১০.৩০ বা ১১টার বদলে সকালের দিকে স্কুল চালু করতে পারে, যেমন সকাল ৭টা বা ৮টা। অতিরিক্ত গরম থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই যদি বৃষ্টি হয়ে যায়, তাহলে আর এত কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না হয়তো।
স্কুলগুলিকে কি জানাল সরকার?
আমরা প্রত্যেকেই জানি, দক্ষিণে বর্ষা একটু একটু করে প্রবেশ করছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনো পর্যন্ত আসেনি। যার ফলে বিভিন্ন জায়গাতে তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে, যার জেরেই সেই সমস্ত জায়গায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই তো সেই সমস্ত জায়গাতে যদি শিক্ষক-শিক্ষিকারা মনে করেন, তাহলে সময় বদলে দিতে পারেন।
আবহাওয়া দপ্তর প্রথমেই জানিয়েছিল, এবার নাকি সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকবে তবে সে কথা সত্যি হয়েছে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্র উত্তরবঙ্গের বর্ষা একদিন আগেই ঢুকেছে, তারপরে দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত বর্ষা আসেনি মাঝপথে থমকে থেমে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে, এইরকম পরিস্থিতিতে ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত স্কুলে যাওয়া যেতেই হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের সময় পাল্টানোর নির্দেশ দিল, রাজ্য সরকার তাদের একটু রেহাই দিতে।