Summer Holiday: ছুটি শেষ হতেই বদলে গেল ক্লাসের সময়, জুন মাসে স্কুল খোলার সময় নিয়ে বড় ঘোষণা শিক্ষা দফতরের
চলতি বছরে মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি (Summer Holiday) দিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। মে মাস থেকে সাধারণত গরমের ছুটি পড়লেও এবারে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে এপ্রিলেই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছিল স্কুলগুলিতে। দীর্ঘ দেড় মাস ছুটি থাকার পর সদ্য পঠনপাঠন শুরু হয়েছে ফের। কিন্তু স্কুল খুলে গেলেও গরম কমার নাম নেই একটুও। উত্তরবঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলেও দক্ষিণে এখনো প্রবেশ করেনি বর্ষা। আর তার জেরেই ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এবার স্কুলের সময় নিয়ে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত।
রাজ্য স্কুল দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের সময় পরিবর্তন করা যাবে। স্থানীয় আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে স্কুলের সময়সীমা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের ৬০ শতাংশ স্কুলে সময় বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গরমের জন্য রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার স্কুলে জুন মাসটা অন্তত সকাল ৭-৭:৩০ টা থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সময় বদলে সকালে হওয়ার জন্য স্কুলগুলি ফাঁকি দিচ্ছে কিনা তা জানতে জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বর্তমানে মোট ৬৪০০০ স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ৫০০০০ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত স্কুল রয়েছে ১৪০০০। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এ বছর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন পাঠক্রম। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মোট চারটি সেমিস্টার দিয়ে পাশ করতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। নতুন পাঠক্রমের সঠিক বই এখনও প্রকাশিত হয়নি। দীর্ঘ ছুটির কারণে সিলেবাস শুরুই করা যায়নি। এদিকে প্রথম সেমিস্টার প্রায় এসেই গিয়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে পাশ করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা। তাই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা এবং সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রায় গোটা বাংলা জুড়েই তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই পড়ে গিয়েছিল গরমের ছুটি। মে মাসের বদলে ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয় ২২ এপ্রিল। মাঝে ঝড় বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে ফের স্কুল খোলার দাবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে কোনো সরকারি নির্দেশ মেলেনি।