সময়টা ছিল ষাটের দশক। সেই সময় পার্টিতে নায়িকাদের সাদা শাড়ি পরে, হাতে কোকাকোলার গ্লাস নিয়ে মায়েদের সাথে ঘুরতে দেখা যেত। কিন্তু 1966 সালের ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ পরিবর্তন শুরু করেছিল বলিউডে। কভার পেজে বিকিনি পরিহিতা শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। চারিদিকে পড়ে গেল ছিছিক্কার। প্রথমবার কোনো বলিউড নায়িকাকে বিকিনি পরতে দেখল পৃথিবী।
View this post on Instagram
সাম্প্রতিক কালে বুক ক্লাবের সাক্ষাৎকারে এখনও সেই সময়টা ভুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শর্মিলা। তিনি বললেন, ফটোগ্রাফার তাঁকে বিকিনি পরে ছবি তুলতে দেখে ইতস্তত করেছিলেন। কিন্তু শর্মিলা বলেছিলেন, কেন তিনি বিকিনি পরে ছবি তুলবেন না! কারণ তাঁকে দেখতে যথেষ্ট ভালো লাগছিল। তবে এই ফটোশুটের পর সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলেও সময়টা কঠিন হয়ে পড়েছিল শর্মিলার জন্য। ফিল্মফেয়ারে শর্মিলার বিকিনি পরা ছবি যখন প্রকাশিত হয়, সেই সময় লন্ডনে ছিলেন তিনি। সেখানেই ফোন আসে বিখ্যাত পরিচালক শক্তি সামন্ত (Shakti Shamanta)-র।
শর্মিলাকে ফোন করে শক্তি বলেন, তাঁদের কিছু ব্যবস্থা করতেই হবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার জন্য। হ্যাঁ, এই ভাষায় সেদিন শক্তি ব্যবহার করেছিলেন। শর্মিলা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্বামী মনসুর আলি খান পতৌদি (Mansoor Ali Khan Pataudi), যাঁকে পৃথিবী চেনে ‘টাইগার’ নামে। শর্মিলা স্বামীকে টেলিগ্রাম করেছিলেন লন্ডন থেকে। স্ত্রীকে অবাক করে দিয়ে এসেছিল টাইগারের টেলিগ্রাম। তিনি লিখেছিলেন, বিকিনি পরে শর্মিলাকে দেখতে যথেষ্ট সুন্দর লাগছে। টাইগার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শর্মিলার।
View this post on Instagram
কিন্তু এই ঘটনা শর্মিলাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল এক ধ্রুব সত্য। একজন সেলিব্রিটির উপর থাকে দায়বদ্ধতা। তাঁর দর্শকদের মনোভাব তাঁকে বুঝতেই হয়। গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির দিকে আকৃষ্ট হলেও সকলে কুশীলবদের সম্মান করেন না। কিন্তু শর্মিলা চেয়েছিলেন তাঁর প্রাপ্য সম্মান।