Bengali SerialHoop Plus

Aindrila Sharma: আগামী বছরেই ছিল বিয়ের পরিকল্পনা, নীরবতা ভাঙলেন প্রয়াত ঐন্দ্রিলার মা

ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমের কাহিনী সকলেরই কমবেশি গোচরে। দুজনেই ছিলেন বেশ খোলামেলা স্বভাবের, সে ক্যানসারই হোক বা জীবনের গল্প। কিন্তু তাদের এই গল্প কি কখনো পরিণতির কথা ভাবেনি? কখনো কি একে অপরকে বিয়ে করার কথা ভেবেছিলেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী? এবার এই বিষয়টি খোলসা করলেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা।

কেটে গেছে ৯ টা দিন। পার্থিব জগতে নশ্বর হয়ে আর নেই ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma)। বাড়িময় শূন্যতা। মেয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে স্মৃতিচারণায় দিন কাটছে ঐন্দ্রিলার বাবা মায়ের। মুহুর্মুহু ভেঙে পড়ছেন সকলেই। কখনো বাবা, কখনো মা, কখনো আবার দিদি। কিন্তু তারা একে অপরকে সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন ভালোভাবেই। তাই হয়তো ভালো না থাকলেও অসুস্থতা ফের ঘিরে ধরেনি শর্মা পরিবারকে। এদিকে সারাক্ষন ঐন্দ্রিলার পাশে থাকা মানুষটাও কেমন চুপচাপ। তবুও সব্যসাচী (Sabyasachi Choudhury)যে ঐন্দ্রিলা এবং তাদের পরিবারের কতটা কাছাকাছি, সেটা বোঝা গিয়েছে তার মায়ের ফেসবুকের লেখা দেখেই। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সব্যর ঐন্দ্রিলা’। তাতেই শর্মা পরিবারে স্পষ্ট হয়েছিল অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর অবস্থান।

কিন্তু ঐন্দ্রিলা সব্যসাচী কি কোনোদিনই বিয়ের কথা ভাবেনি? এর উত্তর দিলেন খোদ ঐন্দ্রিলার মা। তিনি জানান, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসেই ওদের সবার আসার কথা ছিল বাড়িতে। পাকা কথা হওয়ারও পরিকল্পনা ছিল নাকি দুই পরিবারের। এই ব্যাপারে সব্যসাচীর বাবার সঙ্গে ফোনে তার কথাবার্তা হয় বলেও জানান ঐন্দ্রিলা জননী শিখাদেবী। কিন্তু তার মাঝেই যেন সবটা শেষ হয়ে গেল। তাই আক্ষেপের সুর টেনে শিখা দেবী জানান, ‘পরিকল্পনা তো অনেক কিছুই ছিল। কিন্তু….’। তার এই একটা ‘কিন্তু’ যেন স্পষ্ট করে দেয় মাতৃশোকের গভীরতা। এছাড়াও কাঁপা কাঁপা গলায় শিখাদেবী বলেন, ‘সব্য আর আমার মিষ্টি হরিহর আত্মা।’

২০ নভেম্বর সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল ঐন্দ্রিলার পরিবার। সহমর্মী হয়েছিল গোটা বাংলা। তবে সেদিন থেকেই নিস্তব্ধ হয়েছে একটা মানুষ। তিনি আর কেউ নন, ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ সব্যসাচী। ফেসবুক থেকে নিয়েছেন নির্বাসন, সবকিছু থেকে দূরে রেখেছেন নিজেকে। যেন তার দিন কাটছে অবাধ নিরালায়, স্মৃতিতে মাখোমাখো হয়ে। সেটাই বা হবেনা কেন! ফেব্রুয়ারিতেই যে সাতপাকে বাঁধা পড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা।

Related Articles