12 ই মার্চ আটত্রিশ বছর বয়সে পা দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। মা হওয়ার পর থেকে কম গান রেকর্ডিং করেন শ্রেয়া। সঙ্গীতশিল্পীদের অধিকাংশ একই পেশার মানুষকে বিয়ে করলেও শ্রেয়া সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিয়ে করেছেন শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায় (Shiladitya Mukherjee)-কে। শিলাদিত্য পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার।
শ্রেয়ার শৈশবের বন্ধু শিলাদিত্য। তাঁরা একই স্কুলে পড়েছেন। একসঙ্গেই তাঁদের বেড়ে ওঠা, খেলাধুলো। শ্রেয়া তখন সবে গানের তালিম নিচ্ছেন। পরবর্তীকালে সঙ্গীতজগতে নামী শিল্পী হয়ে উঠলেও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। তাঁদের একাধিক বন্ধু থাকলেও একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলেন তাঁরা। শ্রেয়া যখন সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার তালিম নিচ্ছেন, তখন শিলাদিত্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। একসময় শ্রেয়া নামী সঙ্গীতশিল্পী হয়েছেন। অপরদিকে শিলাদিত্য খুলেছেন নিজের সংস্থা। কাজের চাপে একে অপরের থেকে দূরে থাকলেও তাঁরা বুঝতে পারছিলেন, তাঁদের একে অপরকে অনেক কিছু বলার আছে।
View this post on Instagram
ততদিনে শ্রেয়ার ঝুলিতে চারটি জাতীয় পুরস্কার, ছটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, পাঁচ বার সেরা গায়িকার সম্মান, নয়টি দক্ষিণী ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। কিন্তু তখনও তাঁর পাশে ছিলেন শিলাদিত্য। একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। অতএব 2015 সালে শ্রেয়া ও শিলাদিত্য তাঁদের বিয়ের ঘোষণা করেন।
বিয়ের পর একটি সাক্ষাৎকারে শ্রেয়া বলেছিলেন, গানের জগতের সঙ্গে সুপরিচিত হওয়ার কারণে তিনি সেখানকার মানুষদের চেনেন। কিন্তু তাঁর কাছে ইন্টারেস্টিং লাগে গানের জগতের বাইরের মানুষদের। তাই কোনো গীতিকার বা গায়ককে তিনি জীবনসঙ্গী চাননি। বরাবর শিলাদিত্যকেই তিনি ভালোবেসেছেন। তবে বর্তমানে শ্রেয়া ও শিলাদিত্যর জীবনে এসেছে নতুন অতিথি, তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান দেবয়ান (Devyaan)।
View this post on Instagram