Bengali SerialHoop Plus

Shruti Das: আমার বাচ্চারা আগেই ডেনড্রাইটের নেশা করত, এখন সারারাত জেগে পড়ে: শ্রুতি দাস

শ্রুতি দাসের মন অনেক বড় তার প্রমান সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় পাওয়া যায়। আবারো তিনি তার উদার মনের পরিচয় দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে অনেকগুলি ছবি পোস্ট করেন। যে ছবিতে ওকে অনেক দুঃস্থ শিশুদের সঙ্গে অনাবিল আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে খোশমেজাজে ধরা দিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।

ছবিগুলি পোস্ট করে তিনি লেখেন,“কাল রাতে শো করে আজ সকাল ছ’টায় যখন বাড়ি ঢুকলাম একবার ভেবেছিলাম ওদের জানিয়ে দেব সামনের রবিবার যাব,আজ শরীর দিচ্ছেনা।কিন্তু বারবার কানে একটা কথাই বাজছিল : “আমার বাচ্চারা সারারাত জেগে ডেন্ড্রাইটের নেশা করত,এখন সারারাত জেগে হাতের কাজ এর নেশা করে,নাচ গান করে,লেখাপড়া করে,তুমি আসবে এই আনন্দে ওরা নিজের হাতে উপহার বানিয়েছে,তুমি আসবে তো?”

অভিনেত্রী শ্রুতি কাউকে কথা দিলে সেই কথা রাখেন খুব অসুবিধা না হলে। তিনি কাটোয়া গিয়ে সময় পেলেও তাঁর ভাইবোন দের কাছে ছুটে যান।তিনি আরও বলেন,“আমার কাছে টানা উপার্জন না থাকায় আমি কখনো সেভাবে কাউকে অর্থ সাহায্য করতে পারিনা অনেকসময়।তবে যাই ওদের ভালোবাসার ছোটোখাটো কিছু জিনিস নিয়ে।ছবিও পোষ্ট করি যাতে এই ঠিকানা গুলো পেয়ে যথাযথ উপযুক্ত কিছু মানুষ যাতে ওদের কাছে ছুটে যায় এবং সাধ্যমতো পাশে থাকে।”

তিনি জানান যে তার একটি পোস্টে সম্প্রতি পাপিয়া কর নামক এক ব্যক্তি কমেন্ট করেছিলেন যাতে তিনি একবার অন্তত ফুল পাখিদের আসরে উপস্থিত হন। অভিনেত্রী আরও লেখেন,“আমি সাতপাঁচ না ভেবে দুম করে কথা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং আজ সকালে ফিরে চার ঘন্টা ঘুমিয়ে বাবার সাথে চলে গেলাম এই জমজমাট নিষ্পাপ কচিকাচাদের আসরে।আমি এর আগেও এরকম জায়গায় গিয়ে ছবি তুলে পোষ্ট দেওয়ায় অনেকে বলেছেন “ক্যামেরা টা বাড়িতে রেখে এসে সমাজসেবা করবেন,কিন্তু আমি সমাজসেবা করার যোগ্যতা এখনো অর্জন করিনি এবং যদি কখনো করি অবশ্যই ক্যামেরা ফোন নিয়েই যাব,বিভিন্ন পথশিশু,আশ্রয়হীন,প্রতিবন্ধী মানুষ দের ঠিকানা দেব যাতে ভগবান রূপী মানুষ গুলো অন্তত ওদের আসল ভগবান হয়ে মাথার উপর আশীর্বাদ এর হাত রেখে আসেন। সবশেষে একটাই কথা বলব,শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতা কে Don’t Care করা পাপিয়া দি দের মতো জীবন্ত ভগবান রা রাজ করুন এই সমাজে।আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কথা দিচ্ছি সাধ্যমতো পাশে থাকব সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের পাশে।
আর যদি কোনোদিন যথাযথ অর্থ উপার্জন করতে পারি আমার শিল্পী সত্ত্বা দিয়ে,আমি কিছু করে যাব এই সকল মানুষদের জন্য।”

তিনি এই আবেদন জানান যে যদি লাইমলাইটে আনতে হয় এই শিশুদের লাইমলাইট আনা উচিত।মিডিয়ায় হেডলাইন হওয়া উচিত “শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়া ইউটিউব থেকে নাচ শিখে তাক লাগালো পথশিশুরা,তাজ্জব নেটদুনিয়া। অভিনেত্রী জানান যে খুব শিগগিরই এই শিশুগুলি সঙ্গে নাচের ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আনবেন । তার মতে সবার উপরে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই ।

তার এই মানবিক মুখ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন শ্রুতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অভিনেত্রীর শুধু আবেদন মানবিক স্বার্থে এই অসহায়দের পাশে এসে সকলের দাঁড়ানো উচিত।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Shruti Das (@shrutidas_real)