‘মিঠাই’-এর সাইকেল মুন্নির পিঠে চেপে প্রথমবার মাছ কিনতে বাজারে গেল সিদ্ধার্থ!
দাদুর শ্যালক আসছে দুর দেশ থেকে। বোনের কাছে দাবি চিতল মাছের মুইঠা খাবে সে। দাদু পড়েছে চিন্তায়, এখন চিতল মাছ আনতে হবে। মিঠাই সকাল সকাল রান্না ঘরে এসে সকলের খাবার করতে করতে দাদুকে এসে বলে যে সে নিজেই বাজার যাবে আর জ্যান্ত চিতল কিনে আনবে। দাদু রাজি না তার নাতবৌ বাজার যাক।
ঠিক সেই সময় দাদুর লাট সাহেব অর্থাৎ সিদ্ধার্থ নিচে নামে। বাজারের কথা শুনে সে বলে এমন কি ব্যাপার, অনলাইনে মাছ অর্ডার দিচ্ছি চলে আসবে। দাদু, মিঠাই শুনে অবাক! অনলাইনে মাছ! ওদের কথা অনুযায়ী বাঙালিরা মাছ পেট টিপে কানকো দেখে আনে। এরপর ডাইনিং এরিয়ায় সকলে উপস্থিত হয়। অনলাইনে মাছ কেনা নিয়ে সবাই অবাক।
এদিকে সিদ্ধার্থ চ্যালেঞ্জ নিয়েছে একটা মাস ভালো হয়ে থাকবে, সব নিয়ম পালন করবে। যাইহোক দাদু একেবারে রাজী না অনলাইন থেকে মাছ কেনাতে। সকলেই হাসছে। এদিকে সিদ্ধার্থ বলছে চ্যালেঞ্জ যখন নিয়েছি সব করবো। দাদুকে জানিয়ে দেয় একটা বড় কোম্পানি সে চালায় আর মাছ আনতে পারবে না? ব্যাস, মিঠাই রাণী তাড়াতাড়ি বাজারের ব্যাগ লাট সাহেবের হাতে ধরিয়ে দেয়।
এদিকে সিদ্ধার্থ তার চার চাকার চাবি নিয়ে এগোয়। ব্যাস, মিঠাইয়ের মাথায় হাত। চার চাকা নিয়ে বাজার! আটকায় সিদ্ধার্থকে। মিঠাইয়ের প্রশ্ন যদি সে লাট সাহেবের গাড়িতে উঠতে পারে তবে সাইকেলে কেনো নয়। প্রথম দিকে লেডিস সাইকেল মুন্নির পিঠে চাপতে চায়নি সিদ্ধার্থ শেষে চ্যালেঞ্জের জন্য মুন্নির পিঠে চেপেই মাছ কিনতে যায়। একেবারে ফোনের ছবি দেখে মাছ মেলায়। শেষে একটা মাছ দেখে মনে হয়েছে এটা চিতল। পুরো মাছ কিনে নেয়। এসেই মিঠাইয়ের হাতে দেয়। এদিকে মিঠাই তো মাছ দেখে অবাক। এটা যে চিতল নয়। এদিকে কাউকে কিছু বলেনি মিঠাই, পাছে তার উচ্ছে বাবুর অপমান হয়। এবার দেখার পালা আর মাছ দিয়ে কিভাবে চিতল মাছের মুইঠা হয়ে। ক্রমশ প্রকাশ্য।