বিজয়ী হয়েও অর্কদীপকে নিয়ে ক্ষুব্ধ একাংশ, নেটিজেনদের যোগ্য জবাব দিলেন ইমন চক্রবর্তী
দীর্ঘ ছয় মাস ধরে এক লড়াইয়ের পড়ে শেষ-মেষ গতকাল শেষ হলো সারেগামাপার অন্তিম পর্ব। তবে এই অন্তিম পর্ব অর্কদীপ এর জন্য কতটা ভাল ছিল তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের এই অসাধারণ মুহূর্ত কে কি সত্যিই অর্কদীপ ভালো মুহূর্ত হিসাবে কাটাতে পারছে? গতকাল বিজয়ীর মুকুট তার মাথায় ওঠার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে নানান রকমের চর্চা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটার পর একটা ব্যাঙ্গার্থক উক্তিতে ভরে গেছে গোটা কমেন্ট বক্স। এমনকি বিচারকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি প্ল্যাটফর্ম খুলে গেছে সেখানে যেমন খুশি মন্তব্য পেশ করা যায় একথা ঠিকই কিন্তু এখানে কি স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে না? মানুষই শিল্পীকে তৈরি হতে সাহায্য করে এ কথা ঠিক কিন্তু শিল্পীর অবমাননা করা অপমান করা কি শিক্ষিত সমাজের মানুষের সাজে?
এই সমস্ত কিছুর প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ইমন চক্রবর্তী যিনি এই ছয় মাস ধরে এই রিয়েলিটি শো’র গুরুর আসনে বসেছিলেন তিনি প্রশ্নের উত্তর দিলেন এবং তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হলেন এই সমাজের শিক্ষিত মানুষের প্রতি। যারা এই কুমন্তব্যগুলি করেছেন তাদের প্রতি যথেষ্ট রাগান্বিত হয়ে এমন তাদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেছেন, এই সমস্ত ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের গান ভালো নাই লাগতে পারে কিন্তু তাদেরকে এমন ছোট করছেন কেন? তিনি আরো বলেছেন তাদের হাতে যদি পুরোটা থাকতো তাহলে এই ছয়জনকেই তারা উইনার হিসাবে ঘোষণা করতেন। ইমন এও জানিয়েছেন, যে কোনো রকম ভাবেই তিনি পক্ষপাতিত্ব করেননি কারণ তার কাছে এই ছয় জনই সমান। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এত অপমান একজন উঠতি শিল্পীকে কতখানি মানসিক চাপে ফেলতে পারে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইমন।
প্রত্যেকজন প্রতিযোগী কিভাবে লড়াই করে কষ্ট করে তারা এই পর্যন্ত এসেছে এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা করা সত্যিই যায়না। কিন্তু সাধারন মানুষ যে মন্তব্যগুলি করছেন সেগুলো কি সত্যিই করা উচিত?শুধু তাই নয় কেউ কেউ তো এমন কথাও বলেছেন নাকি ইমন চক্রবর্তী নিজের টাকা দিয়ে বিষয়টি করেছেন এই কথারও প্রতিবাদ করেন ইমন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজের জন্যই কাউকে কোনদিন টাকা খাওয়াননি তিনি অর্কদীপ এর জন্য কেন এটি করতে যাবেন।গতবছর করোনা আবহে প্রত্যেকটি শিল্পীর কিরম ভাবে পরিস্থিতি গিয়েছিল তা আমরা প্রত্যেকেই জানি, এই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেন ইমন চক্রবর্তী। বিষয়টি কোথায় শেষ হবে তা বোধহয় কারো জানা নেই। কিন্তু অর্কদীপ এর কালকের ওই মুহূর্তটি এমন ভয়ঙ্কর মুহূর্তে পরিণত হতে পারে তা বোধহয় কেউ কেউ ভাবতেই পারেননি।তবে এসব কিছুর পরেও কোনোভাবেই বিচলিত না হয়ে অর্কদ্বীপ জানিয়েছেন, যারা তার গান ভালোবাসেন এবং যারা ভালোবাসেননা প্রত্যেকের থেকেই তিনি আশীর্বাদ চান।