Hoop Life

অনিয়মিত ঋতুস্রাবের হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন ৬টি ঘরোয়া টোটকা

ঋতুস্রাব মহিলাদের একটি স্বাভাবিক ঘটনা তবে বর্তমানে অনেকেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণত অতিরিক্ত মানসিক চাপ পরিশ্রম দুর্বলতা জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে নানা অসুবিধার জন্য ঋতুস্রাবের সময় অদল বদল হয়। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে কন্ট্রাসেপটিভ পিল খেয়ে থাকেন তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এইগুলি হতে পারে।

ঋতুস্রাবের সময় ঠিক থাকেনা, এছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ভীষণ শরীর খারাপ, অরুচি, মাথাব্যথা, পা ব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি নানা সমস্যায় ভোগেন আজকালকার নারীরা। এর হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। এ ঘরোয়া টোটকা গুলি মেনে চলতে পারলে আপনার ঋতুস্রাবের কোন সমস্যা থাকবেনা।

প্রথমত, আদার রস -»
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম জলের মধ্যে দুই চামচ আদার রস, এক-চামচ লেবুর রস এবং এটি যদি মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীর অনেক সুন্দর থাকবে। আদার রস ঋতুস্রাবের সাইকেলকে ঠিক করতে সাহায্য করে।

দ্বিতীয়তঃ, হলুদ -»
ঋতুস্রাবকে নিয়মিত করতে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংস পেশী সংকোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুন ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া থেকে আপনার শরীরকে মুক্তি দিতে পারে। এই জলের মধ্যে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফুঁটিয়ে অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই জলটির সঙ্গে যদি এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে ঋতুস্রাবের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার সময় দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।

তৃতীয়তঃ, দারচিনি -»
দারচিনির মধ্যে থাকে বহুগুণ। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের জন্য অবশ্যই গরম জলের মধ্যে দারচিনির গুঁড়ো, লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা দূর হয় সহজে।

চতুর্থত, ফল ও সবজির রস -»
সারা দিনে অন্তত দুইবার ফল কিংবা সবজির রস পান করুন। সবজির মধ্যে চাল কুমড়ো, লাউ, করোলা, টমেটো, গাজর ইত্যাদি ভীষণ উপকারী। এছাড়া এই সময় প্রচুর পরিমাণে পালংশাকের জুস করে খেতে পারেন। পালংশাকের জুস পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সমস্যায় অনেকটা সমাধান হয়। ফলের মধ্যে অবশ্যই টক জাতীয় ফল যে কোন টাইপের লেবু, আমলকী ইত্যাদি খেতে হবে।

পঞ্চমত, জিরের জল-»
যাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, তারা অবশ্যই জিরের জল পান করুন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আপনি অনায়াসে এক কাপ জল গরম করে তার মধ্যে জিরে দিয়ে এবং এই পানীয় সঙ্গে এক চামচ গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন।

ষষ্ঠতঃ, নিয়মিত যোগাভ্যাস, প্রাণায়াম ইত্যাদি করতে হবে এছাড়াও জগিং, হাঁটাহাঁটি এবং ঋতুস্রাব সঠিক দিনে, সঠিক পরিমাণে হওয়ার জন্য বাটারফ্লাই প্রাণায়াম করবেন।

Related Articles