Skin Care: ত্বক হবে দুধের মতো ফর্সা, গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ভিটামিন ই অয়েল
ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে গোলাপজল, ভিটামিন ই অয়েল। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপ জল কিন্তু রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় জলদি দেখে ফেলুন কিভাবে বাড়িতেই গোলাপ জল তৈরি করবেন, গোলাপ জলের উপকারিতা এবং গোলাপ জল, ভিটামিন ই অয়েল দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করবেন।
গোলাপ জলের সাথে ভিটামিন ই অয়েলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে একটা কাঁচের বোতলে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শুতে যাবার সময় এটি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলেই দেখবেন, আপনার ত্বক একেবারে বদলে গেছে।সামনেই পুজো আসছে, পুজোর সময় যদি নিজেকে একদম অন্যদের থেকে আলাদা দেখাতে চান, তাহলে এটি আপনার জন্য ভীষণ উপযুক্ত।
গোলাপ জল তৈরি করার পদ্ধতি –
দু ভাবে তৈরি করতে পারেন, প্রথমত, একটি পাত্রের মধ্যে বেশ খানিকটা জল নিয়ে গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে বেশ অনেকক্ষণ ধরে ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে অসাধারণ গোলাপ জল।
দ্বিতীয়তঃ,একটি পাত্রের মধ্যে জল দিয়ে ভর্তি করে দিন, গোলাপ পাঁপড়ি ছড়িয়ে দিন। মাঝখানে একটি বড় কাঁচের বাটি রাখুন আর তার ওপরে চাপা দিয়ে দিন এবং চাপাটি যেন এমন হয় যে মাঝখান একটুখানি গর্ত মতন থাকে, আপনি যে কোন ননস্টিকের ফ্রাইংপ্যানে চাপা এরকম দেখতে পাবেন। এরপর গ্যাসের আজ কম আঁচে রাখুন, পাশের জল ফুটবে আর দেখবেন ওপরে বাষ্প জমা হয়েছে দেখবেন সেই বাষ্প আস্তে আস্তে জলে পরিণত হয়ে ওই মাঝখানে রাখা বাটিতে জমা হচ্ছে। এভাবেই আপনি সুন্দর গোলাপ জল পেয়ে যাবেন।
ব্যবহার করার পদ্ধতি –
১) টোনার তৈরি করুন – গোলাপ জল দিয়ে তৈরি করতে পারেন অসাধারণ টোনার। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন সমপরিমাণ শশার রস, সমপরিমাণে গ্রিন টি, ভিটামিন ই অয়েল। অবশ্যই ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন।
২) ফেসপ্যাক তৈরি করুন – গোলাপ জলের, ভিটামিন ই অয়েল সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি বেটে নিয়ে এই মিশ্রণটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, যাদের ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে।
৩) স্ক্রাবার তৈরি করুন – গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি বাটার সঙ্গে তিন টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল-চামচ চিনি, ভিটামিন ই অয়েল খুব ভালো করে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপ জলের উপকারিতা –
১) ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
২) ত্বকের উপরে সূর্যের তাপের জন্য হওয়া কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৩) ত্বকের ওপরে ব্রণ হতে দেয় না।
৪) শুষ্ক ত্বককে নরম ও মোলায়েম করে।
ভিটামিন ই অয়েলের উপকারিতা –
১) ত্বক সুন্দর এবং নরম রাখতে সাহায্য করে।
২) ত্বকের উপরে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।