Hoop Life

Skin Care: ত্বক হবে দুধের মতো ফর্সা, বাড়িতে থাকা মাত্র দুটো জিনিস ব্যবহার করুন

বাড়িতে থাকা মাত্র দুটো জিনিস দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ ফেসপ্যাক। রান্নাঘরে থাকা উপাদান দিয়েই আপনি কিন্তু ভীষণ সুন্দর হয়ে যেতে পারেন বিশ্বাস করুন। এটা কিন্তু একেবারে মনের কথা। আর যদি এটা করে দেখেন তাহলে দেখবেন আপনার ত্বকে কোনরকম কোন সমস্যা হচ্ছে না, বাইরে থেকে আমরা যতই দাম দিয়ে যত কিছুই না কিনে থাকি, তা কিন্তু আমাদের ত্বকের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বাইরের উপাদান আপনার ত্বকের সারা জীবনে অনেক ক্ষতি করে, শুধু তাই নয়, এমন কিছু কিছু উপাদান আছে, যা কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে, তাই যতটা প্রাকৃতিক উপাদান আপনি ব্যবহার করবেন, ততটাই কিন্তু আপনি অনেক বেশি সুন্দর থাকতে পারবেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন, রান্না ঘরে থাকা মাত্র দুটো উপকরণ আপনার ত্বকের জন্য ভীষণ ভালো। সামনেই দূর্গা পূজা আছে, নিজেকে যদি অনেক বেশি সুন্দর করতে চান। তাহলে রান্নাঘর থেকে এই দুটো জিনিস নিয়ে আসুন, প্রতিদিন এই দুটো জিনিস খুব ভালো করে ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার এবং ঝকঝকে হয়ে গেছে।

১) আলু – প্রথমেই যে জিনিসটির নাম করতে হয় সেটি হল আলু। আমরা অনেকেই জানিনা, আলু এক টুকরো নিয়ে আমরা যদি প্রতিদিন আমাদের মুখে বা সারা শরীরে যেখানে কালো দাগ আছে সেখানে একটু ঘষে নিন। তাহলে কিন্তু সেই কালো দাগ একেবারে চলে যাবে অর্থাৎ আলু কিন্তু আমাদেরকে ফর্সা করতে সাহায্য করে। প্রথমে আলুকে খুব ভালো করে কুরে নিতে হবে, তারপর একটি জায়গার মধ্যে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পর দেখবেন ওপরের তরল আর নিচে বেশ কঠিন পদার্থ জমা হয়েছে। ওপরের তরল অংশটি ফেলে দেবেন, নিচের অংশটিকে খুব ভালো করে কালো জায়গার উপরে লাগাবেন।

২) টমেটো – টমেটো ন্যাচারাল ব্লিচিং হিসাবে কাজ করে। টমেটো খুব ভালো ভাবে ত্বকের উপরে যদি লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বকের উপরে থাকা সমস্ত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তবে আলু আর টমেটোকে একসঙ্গে লাগাবেন না, যদি মনে হয়, প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে একদিন টমেটোর রস একদিন আলুর রস এইভাবে লাগাতে পারেন। টমেটো কিন্তু ভীষণ ভালো তবে যাদের সহ্য হয় না, তারা কিন্তু একেবারেই টমেটো ব্যবহার করবেন না।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles