কঠিন রোগ সারিয়ে তুলতে যেভাবে সাহায্য করবে ধনেপাতা
শীতকাল মানেই রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসবে অসাধারণ ধনে পাতার গন্ধ। তরকারিতে ধনেপাতা কিংবা মুড়ি মাখায় ধনেপাতা। শীতকাল মানেই খাবারের পাতে ধনেপাতা পড়বেই। ধনেপাতার রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। তাই শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ধনেপাতা খান। ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েল, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য নানান রকম উপকারী পদার্থ। ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। তাছাড়াও তকে সহজে বলিরেখা আসতে দেয় না ধনেপাতা। আপনার বয়স যতই বেড়ে যায় শরীরে এবং মুখের ত্বক থাকবে একেবারে বাচ্ছাদের মত মখমলে। যারা ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা একটু ধনেপাতা পেস্ট প্রতিদিন রাত্রে বেলা লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন।
যারা হাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা শীতকালে প্রতিদিন ধনেপাতা খেতে পারেন। পাকস্থলীর নানা সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে ধনেপাতা। বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা নিমেষের মধ্যে সরিয়ে দেয় ধনেপাতা। যারা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন, তারা প্রতিদিন ধনেপাতা খান। ধনে পাতা খেলে হাড়, দাঁত ইত্যাদির মজবুত হবে।
ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, মিনারেল ফসফরাস যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন ধনেপাতা খান। ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ধনেপাতা।
ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা শরীরে ঠিক রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি যা ক্যানসার নিরাময়ে সাহায্য করে।
যাদের রাত্রে সহজে ঘুম আসে না তারা ধনেপাতা খেতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। তরকারিতে ধনেপাতা দিয়ে খান এমন অনেক মানুষ আছেন কিন্তু শীতকালে ধনেপাতা কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করুন। ধনেপাতা বাটা, রসুন এবং লেবু দিয়ে খেতে পারলে শরীর অনেক সুস্থ তরতাজা থাকবে।