বাড়ির টবে সজনে চাষ করুন সহজ পদ্ধতি শিখে নিন
সজনে অতি পরিচিত একটি গাছ। সুজনের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। সজনে গাছের কোন কিছুই ফেলা যায় না। সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, সজনে গাছের ফুল সবই খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সজনে পাতার মধ্যে গাজরের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন এ, কলার চেয়ে তিনগুন বেশী পটাশিয়াম, কমলালেবুর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি, প্রচুর পরিমাণে জিংক, পালংশাকের থেকে তিনগুণ পরিমাণে আয়রন থাকে। অ্যানিমিয়া দূর করতে, অন্ধত্ব কমাতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, এমনকি এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সজনে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সুন্দর মখমলে ত্বক পেতে অবশ্যই সপ্তাহে তিন দিন সজনেকে সঙ্গী করুন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বার্ধক্য আসতে দেয় না। ক্যান্সারকেও দূরে রাখে। অসাধারণ এই গাছটি অবশ্যই বাড়িতে চাষ করুন। বাগানে উঠানে যদি জায়গা থাকে তাহলে সেখানেই লাগাতে পারেন। কিন্তু বর্তমান যুগে আমরা অনেকেই ফ্ল্যাটে থাকি, তাই সেখানে বাগান খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। ব্যালকনি কিংবা ছাদে টবেই চাষ করতে পারেন সজনে।
সজনে গাছ হতে পারে সজনের বীজ থেকে কিংবা সজনে গাছের ডাল কেটে। ডাল খেতে চাষ করাটা অনেক সহজ ব্যাপার। অপরিচিত কারুর গাছ থাকলে সেখান থেকে অবশ্যই পাঁচ ফুটের একটি শক্ত ডাল কেটে আনতে হবে। ডালটি রোদের মধ্যে ৫ দিনের মত রেখে দিন।
২০ ইঞ্চির টব, কিংবা জলের জায়গা, বড় ড্রাম যেকোনো কিছু বেছে নিতে পারেন সজনে চাষের জন্য। প্রতিকূল পরিবেশে খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে সজনে।
সজনে চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ যুক্ত বাড়ি তৈরি করতে হবে। উপযুক্ত পরিমাণে গোবর সার ভালো করে মিশিয়ে নিন মাটি প্রস্তুত করতে হবে। এই গাছের রোগবালাই খুব একটা হয়না এটাও মাটি প্রস্তুত করার সময় নিন খোল মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই গাছের জল খুব একটা প্রয়োজন হয় না। বেশি জল হলে গাছ মরে যেতে পারে। উপরের মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই আস্তে আস্তে জল দিন। সাত-আট ঘণ্টা রোদের মধ্যে থাকতে পারে এই গাছ। দশ দিন অন্তর অন্তর গাছের গোড়ায় সরষের খোল পচা তরল সার দিতে পারেন।তাহলে আর সাত-পাঁচ না ভেবে বাড়ির আশেপাশে বাগানে, উঠোনে, ছাদের টবে চটপট বসিয়ে ফেলুন সজনে গাছ।