লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীও রয়েছেন, যাঁদের অনেককে নিয়েই চলছে ট্রোলিং। অভিনয় এবং রাজনীতি, দুই জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন অনেক দিন আগেই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য সদস্যদের কাছে রাজনীতি মানে কী? সম্প্রতি এ বিষয়ে এক সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)।
গত বছর প্রথম ভোট দেন সৌমিতৃষা। কিন্তু রাজনীতির বিষয়ে তাঁর জ্ঞান অনেক আগে থেকেই। অভিনেত্রী জানান, ছোট থেকেই তিনি রাজনীতি নিয়ে সচেতন। অনেক ছোট বয়সেই একটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সৌমিতৃষা বলেন, অনেক বাড়িতে দেখা যায়, বাবা মায়ের রাজনৈতিক মতাদর্শ দেখে ছেলেমেয়েরা প্রভাবিত হয়। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে সেটা উলটো। তাঁর মতাদর্শ বোঝাতে বা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি নাকি রীতিমতো জোরাজুরি করেন তাঁর বাবা মাকে।
সৌমিতৃষার কথায়, তাঁর কাছে রাজনীতি মানে শেষ পর্যন্ত হল জনসেবা। মানুষের চাহিদা শুধু তারা যাকে ভোট দেবেন তিনি যেন তাদের পাশে থাকেন। মানুষ আগের থেকে অনেকটাই রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হয়েছেন বলেও মনে করেন সৌমিতৃষা। তিনি নিজে কখনো সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেননি। পড়াশোনা আর নিজের কাজ দুটো একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেন্ট পলস কলেজ ছেড়ে ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন সৌমিতৃষা। তবে অভিনেত্রী স্পষ্টই বলেন, কলেজে পড়লে তিনি নিশ্চয়ই রাজনীতিতে যোগ দিতেন।
সৌমিতৃষার মতে, কোনো সরকারই সমালোচনার ঊর্দ্ধে নয়। সমস্যা সব জায়গাতেই কম বেশি রয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রী বলেন, কাকে ভোট দিলে একটু কম সমস্যা হবে সেটা দেখে ভোট দেওয়া উচিত। বর্তমানে যেসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন তাদের অনেককে নিয়েই হচ্ছে ট্রোলিং। এর তীব্র বিরোধিতা করেন সৌমিতৃষা। তাঁর কথায়, যেসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা নির্বাচনে লড়ার টিকিট পান, দলের বিচারে তাঁদের বোধশক্তি নিশ্চয়ই অন্যদের তুলনায় বেশি। অন্য অনেক পেশার মানুষও রাজনীতিতে আসেন। কিন্তু অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়েই এত ট্রোল হয় কেন? এর জন্য একাধারে সোশ্যাল মিডিয়াকেই দোষ দেন সৌমিতৃষা। চায়ের দোকানের আড্ডার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিংয়ের তুলনা টেনেও কটাক্ষ শানিয়েছেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram