whatsapp channel
Bengali SerialHoop Plus

গৃহবধূর উত্থানের গল্প, সঙ্গে জুন আন্টির কুটকাচালি, সব মিলিয়ে দু’বছরে পা ‘শ্রীময়ী’র

লকডাউনের মধ্যেও ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিক নিয়ে চর্চা তুঙ্গে রয়েছে। ‘শ্রীময়ী’ ইন্দ্রাণী হালদার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেছিলেন, ইংরাজী মিডিয়ামের শিক্ষিকারাও ‘শ্রীময়ী’ দেখেন। দেখতে দেখতে টেলিভিশনে দুই বছর পার করে ফেলল ‘শ্রীময়ী’।

‘শ্রীময়ী’-র চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly) -কে বলা যায় নারীকেন্দ্রিক চিত্রনাট্যের পথিকৃৎ। যেদিন থেকে তিনি চিত্রনাট্য লেখার জন্য কলম ধরেছেন, সেদিন থেকে তিনি জন্ম দিয়েছেন স্বাধীন নারীচরিত্রের। তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সফল নারীচরিত্র হয়ে উঠেছে ‘শ্রীময়ী’। ‘শ্রীময়ী’ শুরু হয়েছিল 2019 সালের 10 ই জুন। ‘শ্রীময়ী’ যখন শুরু হয়েছিল, তখন দর্শকদের মনে হয়েছিল এটা শুধুই একটি পারিবারিক গল্প। কিন্তু কালের স্রোতে প্রবাহিত হয়ে ‘শ্রীময়ী’ প্রমাণ করে দিয়েছে, শ্রীময়ীরা আসলে প্রত্যেক দর্শকের ঘরে বসতি করেন। ‘চ্যানেল টপার’ বা ‘বেঙ্গল টপার’ হওয়া নয়, শ্রীময়ীর নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় পাওনা দর্শকদের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাই আজ ‘শ্রীময়ী’-কে ছড়িয়ে দিয়েছে সারা ভারত জুড়ে। তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি ও হিন্দি ভাষায় পুননির্মাণ হয়েছে ‘শ্রীময়ী’। স্থান বিশেষে বদলে গিয়েছে তার নাম। কখনও সে ‘অনুপমা’, কখনও ‘তুলসী’, কখনও ‘লক্ষ্মী’, কখনও ‘সুমিত্রা’, কখনও ‘অরুন্ধতী’, কখনও ‘আশা’।

‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে একদা গৃহবধূ শ্রীময়ীর স্বামী তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ফলে সংসার ভেঙে যায় শ্রীময়ীর। শ্রীময়ী নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। কিন্তু তারপরেও প্রাক্তন স্বামীর সংসারে কোনো সমস্যা হলেই ছুটে যায় শ্রীময়ী।

একটু অন্যরক ভাবে যদি ভেবে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে শ্রীময়ী কিন্তু মানসিক দিক দিয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী একজন নারী। তার প্রাক্তন স্বামীও কিন্তু মনে মনে তা জানে। ফলে বিপদে শ্রীময়ীর কথাই তার মনে হয়। এখানেই শ্রীময়ী চরিত্রটি জিতে যায় যখন দেখা যায় আপাতদৃষ্টিতে যারা তাকে একসময় অবলীলায় অপ্রয়োজনীয় তালিকায় ফেলে দিয়েছিল, আজ তারাই কিন্তু তাকে বারবার বিপদের সময় ডাকে। শ্রীময়ী তার আশেপাশের মানুষের ধারণা বদলাতে পেরেছে। সমাজে মেয়েদের কি স্থান হওয়া উচিত তার বার্তা কিছুটা হলেও দিতে পেরেছে শ্রীময়ী।

whatsapp logo