প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী kk কে অসহ্য লাগে, তার গান পছন্দ নয়, এমনকি তাকেও পছন্দ নয় কবি শ্রীজাত’র (Srijato)। তিনি বলেছেন যে ২০০৬-এর ডিসেম্বর থেকে আজ অবধি KK-র গান আমি সহ্য করতে পারি না। কিন্তু, কেন?
একদিকে রূপঙ্কর বাগচী ভয়ানক ফেসবুক লাইভ করেছেন, যেখানে প্রায় সকলেই গায়কককে ছি ছি করছেন। জোর করে সন্মান পাওয়া যায় না এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন আপামর শ্রোতা। রূপঙ্কর বাগচীর করা প্রশ্ন – Who is kk? এর উত্তর জনসাধারণ বুঝিয়ে দিয়েছে। তাহলে কি কবি, গীতিকার, পরিচালক শ্রীজাত একই পথে হাঁটছেন? তিনিও কি প্রয়াত শিল্পী kk র অপমান করলেন? কি লিখেছেন কবি ফেসবুকের দেওয়ালে?
কবি লেখেন, ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল’। লেখেন, “KK-র গান আমার অসহ্য লাগে। গত ১৬ বছর ধরে অসহ্য লাগে। সেই ২০০৬-এর ডিসেম্বর থেকে আজ অবধি KK-র গান আমি সহ্য করতে পারি না।” এখানেই থামেননি কবি। তিনি এও বলেছেন, “ক্যাব-এর রেডিও-তে হঠাৎ বেজে উঠলে চালককে তৎক্ষণাৎ বলি চ্যানেল সরিয়ে দিতে, কোনও জমায়েতে হুট করে বেজে উঠলে সন্তর্পণে উঠে বাইরে চলে যাই। এতটাই অসহনীয় আমার কাছে, KK-র গান, গত ১৬ বছর ধরে। টানা ১৬ বছর, আমি KK-র গান শুনিনি। সত্যি বলতে কী, পালিয়েছি তাঁর কাছ থেকে”।
কেন? কবির মনে কিসের দুঃখ? আসলে কবির ছোট ভাই পুশকিনকে খুবই ভালোবাসতেন তিনি। সেই ভাইয়ের প্রিয় গায়ক ছিলেন kk। এক বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান তাঁর ভাই পুশকিন। সেই দুঃখে শ্রীজাত লেখেন, “আর তার হাত ধরে আমারও। গিটারে তার হাত চলাফেরা করত চমৎকার, আর সুরে গলাও খেলত দিব্যি। তার পড়াশোনা আর পরীক্ষার চাপের ফাঁকে ফাঁকে আমি তাকে জোর করে বসাতাম, ‘গান শোনা দেখি দু’খানা’। এমন বললে সে দু;খানা গানই গেয়ে উঠত কেবল। ‘ইয়ারোঁ, দোস্তি বড়ি হি হসীন হ্যায়’, আর ‘হম রহেঁ ইয়া না রহেঁ কল, কল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল।”