DA Update: বেতনবৃদ্ধির পরিবর্তে ‘পে ম্যাট্রিক্স’ সংশোধন করলো রাজ্য, কতটা লাভবান হবেন সরকারি কর্মীরা!
ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ নানা বিভাগে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী কাজ করেন। আর রাজ্য সরকারের বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করে বেতন কমিশন। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত এটি কেন্দ্রের নিয়ম হলেও অনেক রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অনুসরণ করে চলে। তাই কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও পে কমিশন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় কর্মচারীদের বেতন।
চলতি বছরে নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী ডিয়ারনেস এলাউন্স বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ডিএ বৃদ্ধি কার্যকর হয় বছরের শুরুতেই। তারপর জুলাই থেকে ফের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি পায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। তবে শুধু কেন্দ্র নয়, সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে। যার ফলে খুশির জোয়ার এসেছে সেইসব রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু এবার ডিএ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা গেল ভারতের অন্য একটি রাজ্যে। রাজ্য সরকারের গড়িমসি নিয়ে অখুশি সেখানের কর্মীরা।
সম্প্রতি, বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীরা যে অসন্তুষ্ট, তা সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই রাজধানী আগরতলায় একটি প্রতিবাদ সভা করেন সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সমিতি। আর সেই সভা থেকে রাজ্য সরকারকেই উৎখাত করার প্রস্তাব তোলেন কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সেই রাজ্যে সপ্তম পে কমিশন চালু করা হবে। তবে তার কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাই কিরমি বিরোধী সরকারকে গদি ছাড়ার জন্য আওয়াজ তোলেন তারা।
যদিও ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন সংশোধন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। পে কমিশন সহলু না হলেও পে ম্যাট্রিক্সে হয়েছে সংশোধন। সরকারের দাবি, এই সংশোধনের ফলে সপ্তম পে কমিশনের সমান বেতন পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে আদতে তেমনটা হয়নি বলেই পাল্টা দাবি করেন খোদ কর্মীরা। এমনকি এই পে ম্যাট্রিক্স সংশোধনকে সরকারের ‘চিটিং’ বলে তোপ দাগেন তারা।