পথ কুকুরদের আঘাত করলেই দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা, হতে পারে হাজতবাস
ভারতবর্ষের রাস্তার অলি গলিতে আছে স্ট্রিট কুকুর আর বিড়াল ছানা। ওদেরকে আমরা যদি দুটো বিস্কুট খাওয়াই তারা সাথে সাথে আমাদের পোষ মেনে যায়। কিন্তু এই স্ট্রিট ডগ আর বেড়ালদেরই রাস্তায় নেই কোনো নিরাপত্তা। এক দল মানুষ আছে যারা নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য এই নিষ্পাপ প্রাণীদের গায়ে ঢিল, রং, আতসবাজি দিয়ে কষ্ট দিতে এক বার ও ভাবেনা। ২০২০ সালে কেরলে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাওয়ার পর হাতির মৃত্যুর নির্মম ঘটনাটি এখনো অনেকে ভুলতে পারেনি। আর সেই সময় পুরোনো আইনের জন্য বেঁচে যায় সেই অপরাধীরা।
আর সেই সময়ই বর্তমান আইনের সংশোধনের প্রস্তাব দেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। আর এইরকম পৈশাচিক ঘটনা না। এবার এই রাস্তার কোনো ইচ্ছাকৃত ঢিল মারলে ৫ বছরের জন্য যেতে করাদের ওপারে সাথে দিতে হবে ৭৫০০০ টাকা জরিমানা। হ্যা ঠিকই শুনেছেন পুরনো যে আইন তা নতুন বছরে কেন্দ্র থেকে সংশোধন আনতে চলেছে কেন্দ্র। ৬০ বছরের পুরনো আইনে ছিল যে কোনও পশুকে কোনোরকম অত্যাচার করলে, এমনকি মেরে ফেললেও ছিল না কোনো কঠিন শাস্তি। মাত্র ৫০ টাকা জরিমানা দিলেই ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হত। এবার পুরনো সেই আইনে এবার বড়সড় বদল আনতে চান কেন্দ্র।
নতুন সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৩ ধরনের হিংসার উল্লেখ থাকছে। স্বল্প আঘাত, আঘাতের ফলে শরীরের ক্ষতি এবং আঘাতের কারণে মৃত্যু। আর রাস্তার কোনো পশুদের কোনোরকম আঘাত করলে জরিমানা ৭৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি যে বা যারা এই ঘৃণ্য অপরাধটি করবেন, তাঁকে পশুটির মূল্যের ৩ গুণ টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। আর সেই পশুটির মৃত্যু হয় তাহলে অপরাধীর হাজতবাসের কথাও বলা হচ্ছে আইনের নতুন সংশোধনে
গত বছর হিমাচল প্রদেশে গর্ভবতী গাভির হত্যাকান্ডে নাড়িয়ে দেয় পুরোনো সব আইন। আর পুরোনো আইনের ফাঁকগুলো মানুষের নজরে আসে। প্রসঙ্গত, ভারতের নানান আদালতে বর্তমানে ৩১৬টি এরকম মামলা চলছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টেই রয়েছে প্রায় ৬৪টি মামলা। আইন সংশোধনের পর এই নতুন আইন পাস হলেই তা সকলকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। আইন পাশ হলে ভারতের সর্বত্র এই নতুন আইন লাগু করা হবে।