টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘বিন্দু মাসি’ নামে জনপ্রিয় হলেও অনামিকা সাহার (Anamika Saha) মতো ভার্সেটাইল অভিনেত্রী খুব কমই আছেন। খুব কম বয়সেই অভিনয়ে পা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর বয়সী অন্য অভিনেত্রীরা যখন নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন, তখন তিনি অভিনয় করেছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির নায়কদের মায়ের চরিত্রে। আবার তিনিই অভিনয় করেছেন যৌনকর্মীর চরিত্রে। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় এমন মন্তব্য করেছিলেন যে আহত হয়েছিলেন অনামিকা সাহা।
অনেক কম বয়সে অভিনয় শুরু করেন অনামিকা সাহা। মাত্র ১৮-১৯ বছর বয়সে ইন্ডাস্ট্রির ‘পলিটিক্স’ সম্পর্কে কিছুই বুঝতেন না তিনি। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে অনামিকা সাহা বলেছিলেন, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য তাঁর ভালো লাগেনি। প্রবীণ অভিনেতা নাকি নাম না করে বলেছিলেন, ‘এখন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেনো জল ঢুকে গিয়েছে। চট্টোপাধ্যায়, বন্দ্যোপাধ্যায়দের মাঝে সাহারাও ঢুকে পড়েছে’। এভাবেই নাকি অনামিকাকে পরোক্ষ ভাবে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও পরবর্তীতে আবার অনামিকার অভিনয় দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলা সিনেমার সবথেকে জনপ্রিয় খলনায়িকাদের মধ্যে অনামিকা সাহা অন্যতম। আবার তাঁর অভিনীত মায়ের চরিত্রগুলিও একই রকম ভাবে মনে রয়ে গিয়েছে দর্শকদের। এ বিষয়ে অনামিকা সাহা একবার বলেছিলেন, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী নাকি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কীভাবে নিজের শরীরটা ভাঙতে হবে পুরোপুরি।
তাঁর পরামর্শ মতোই পান্তা ভাত, ঘি ভাত খেয়ে দুপুরে ঘুমোতেন অনামিকা সাহা। ওই ভাবেই শরীর ভারী করে মায়ের চরিত্রের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তুলেছিলেন অনামিকা সাহা। বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন ধারাবাহিকে ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। এখনও তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কেড়ে নেয় বারবার। বিভিন্ন চ্যানেলের বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। বছর খানেক আগে একটি ছবিতেও আবারো খল নায়িকার চরিত্রে তাঁর অভিনয়ের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। বর্তমানে তাঁকে ‘মন দিতে চাই’ সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।